রাজধানীর পল্লবীতে যুবদল নেতা গোলাম কিবরিয়া হত্যার ঘটনায় পল্লবী থানায় হত্যা মামলা করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে (১৮ নভেম্বর) কিবরিয়ার স্ত্রী সাবিহা আক্তার দিনা বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
মামলার নামীয় আসামিরা হলেন মো. জনি ভূঁইয়া (২৫), সোহেল ওরফে পাতা সোহেল ওরফে মনির হোসেন (৩০), সোহাগ ওরফে কাল্লু (২৭), মাসুম ওরফে ভাগিনা মাসুম (২৮) ও রোকন (৩০)। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা সাত-আটজনকে আসামি করা হয়েছে।
আজ রাতে আজকের পত্রিকাকে এসব তথ্য জানান ডিএমপির মিরপুর বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামি পাতা সোহেল ও আসামি মাসুম ওরফে ভাগিনা মাসুম ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী নির্দেশনা দিলে মামলার ১ নম্বর আসামি জনি ভূঁইয়া, সোহাগ ওরফে কাল্লু ও রোকন ওই দোকানে অতর্কিতভাবে প্রবেশ করেন। কেউ কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই গোলাম কিবরিয়াকে হত্যার উদ্দেশ্যে পিস্তল দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি গুলি করে পালিয়ে যান।
উল্লেখ্য, গতকাল সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটের দিকে পল্লবী সেকশন-১২-এ অবস্থিত বিক্রমপুর হার্ডওয়্যার অ্যান্ড স্যানিটারি দোকানে অবস্থান করছিলেন পল্লবী থানা যুবদলের সদস্যসচিব গোলাম কিবরিয়া। এ সময় মোটরসাইকেলে তিনজন দুর্বৃত্ত আসে। পরে ওই তিন দুর্বৃত্ত দোকানে ঢুকে তাঁর মাথায়, বুকে ও পিঠে পিস্তল ঠেকিয়ে সাতটি গুলি করে। পরে লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।