হোম > সারা দেশ > ঢাকা

জবি ভিসির ভবন ঘেরাও করে রেখেছেন আস-সুন্নাহর মেধাবী প্রজেক্টের শিক্ষার্থীরা

  জবি প্রতিনিধি

উপাচার্য ভবন অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

আবাসন বৃত্তি নীতিমালার পুনর্বিন্যাস ও সংশোধনসহ তিন দফা দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য (ভিসি) ভবন অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। ‘আস-সুন্নাহ মেধাবী প্রজেক্ট’-এর ব্যানারে শিক্ষার্থীরা আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ভিসি ভবনের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে এই কর্মসূচি শুরু করেন।

এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা) আন্দোলনকারীরা ভিসি ভবনের সামনে অবস্থান করছেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা দাবি আদায়ে নানা স্লোগান দেন।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, নতুন আবাসন বৃত্তি নীতিমালায় আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন পরিচালিত মেধাবী প্রজেক্টে থাকা শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত করা হয়েছে। তাঁরা আবাসন বৃত্তিকে ‘মেধাভিত্তিক’ না করে ‘প্রয়োজনভিত্তিক’ করার দাবি জানান।

‎বাংলা বিভাগের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শফিক বলেন, ‘আমরা আস-সুন্নাহতে ফ্রিতে থাকি না, আমাদের কিছু নিদিষ্ট অর্থ দিতে হয়। আমাদের সিটটা অনিশ্চিত, যেকোনো সময় বের করে দিতে পারে। আমাদের বিশেষ বৃত্তি থেকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে, এটা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক, তাই আমাদের এই আন্দোলন।’  

‎ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী বখতিয়ার ইসলাম বলেন, ‘আমরা প্রশাসনকে সাফ জানিয়ে দিতে চাই, আমাদের তিন দফা দাবি না মানলে আমরা এখান থেকে যাব না। যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের এই দাবি না মানা হবে, আমরা এখানেই অবস্থান করব।’

‎শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবিগুলো হলো— ‎আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন পরিচালিত মেধাবী প্রজেক্টে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের সাধারণ শিক্ষার্থীর ন্যায় আবাসন বৃত্তি নীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত করা; আবাসন বৃত্তিকে ‘মেধাভিত্তিক’ না করে ‘প্রয়োজনভিত্তিক’ রাখার লক্ষ্যে সিলেকশন মানদণ্ডে আরোপিত ৭০% উপস্থিতি ও সিজিপিএ-নির্ভর শর্ত বাতিল করা; রি-অ্যাডমিশনসংক্রান্ত শর্ত সম্পূর্ণরূপে বাতিল করা।

‎এর আগে গত বুধবার (১০ ডিসেম্বর) বিশেষ বৃত্তি নীতিমালায় সংযোজিত অযৌক্তিক শর্তগুলোর সংশোধন ও পুনর্বিন্যাসের দাবিতে বিক্ষোভ-সমাবেশ করেন আস-সুন্নাহ প্রকল্পের শিক্ষার্থীরা। এরপর ১১ ডিসেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে আজ ভিসি ভবন ঘেরাও কর্মসূচি দিয়েছিলেন তাঁরা।

‎উল্লেখ্য, ৮ ডিসেম্বর ‘বিশেষ বৃত্তি নীতিমালা-২০২৫’ অনুমোদন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। নীতিমালা অনুযায়ী, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষ থেকে নিয়মিত পাঁচটি শিক্ষাবর্ষের (স্নাতক চারটি ও স্নাতকোত্তর একটি) শিক্ষার্থীরা বৃত্তির জন্য যোগ্য হবেন। বাছাইয়ের মূল মানদণ্ড হিসেবে ধরা হয়েছে অসচ্ছলতা, মেধা, শ্রেণি-উপস্থিতি ও ফলাফল। বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে সিট পাওয়া, সচ্ছল পরিবারের সঙ্গে ঢাকায় থাকা, শৃঙ্খলাভঙ্গ, পুনর্ভর্তি ইত্যাদি ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা অযোগ্য হবেন বলে জানানো হয় নীতিমালায়।

ট্রাফিক পুলিশকে ২০০ মিটার টেনে নিয়ে যাওয়া অটোরিকশাচালক গ্রেপ্তার

শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফিরাত ও খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় এতিম শিশুদের দোয়া

আনিস আলমগীরকে গ্রেপ্তার স্বৈরাচারী আমলে সাংবাদিক দমন-পীড়নের পুনরাবৃত্তি

কেরানীগঞ্জে সড়কের পাশ থেকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির লাশ উদ্ধার

ড. ইউনূস যদি চান, সারা বাংলাদেশকে কারাগার বানাতে পারেন—আদালতে আনিস আলমগীর

আতিফ আসলামের কনসার্ট নিয়ে প্রতারণা: মেইন স্টেজের ৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা

আনিস আলমগীরকে ৫ দিনের রিমান্ডে পেল পুলিশ

সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে ৭ দিনের রিমান্ডে চায় পুলিশ

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে পাশে নিয়ে তাঁরই পদত্যাগ চাইলেন সাদিক কায়েম

সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে