কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার টৈটং ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী জাহেদুল ইসলামকে জেতাতে ভোটে দাঁড়িয়েছেন তাঁর স্ত্রী শামীমা নাসরীন সাইমা। এমন অভিযোগ করেছেন বিরোধী প্রার্থী।
আজ বৃহস্পতিবার প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দে সাইমা টেলিফোন প্রতীক পান। কিন্তু মনোনয়ন সংগ্রহের পর থেকে এ পর্যন্ত কোন প্রচার প্রচারণায় অংশ নেননি তিনি। এদিকে সাইমার স্বামী নৌকা প্রতীকের তথা আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পাওয়ার পর প্রায় প্রতিদিনই আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে মিছিল, মিটিং ও শোভাযাত্রা করে যাচ্ছেন।
টৈটং ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. শহিদুল্লাহ বলেন, মূলত ডামি (ছায়া) প্রার্থী হিসেবে নিজের স্ত্রীকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করাচ্ছে আওয়ামীলীগের প্রার্থী জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী। প্রতি ভোট কেন্দ্রে এজেন্ট বাড়িয়ে প্রভাব বিস্তারের জন্য এটি করা হয়েছে। তাছাড়া আওয়ামীলীগের প্রার্থী জাহেদুল ত্রাণের চাল আত্মসাতের ঘটনার অভিযুক্ত হওয়ায় প্রতিদ্বন্দ্বীতা থেকে ছিটকে পড়ার আশংকা ছিল।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে টৈটং ইউপি নির্বাচনের প্রার্থী শামীমা নাসরীন সাইমা বলেন, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতার উদ্দেশ্যে আমি মনোনয়ন সংগ্রহ করেছিলাম। এখন যেহেতু আমার স্বামী দ্বিতীয়বারের মতো নৌকা প্রতীক পেয়েছে, তাই আমি আমার স্বামীকে জেতাতে কাজ করবো। আপনারা সবাই তার জন্য দোয়া করবেন।
স্ত্রীর নির্বাচন সম্পর্কে জানতে চাইলে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, আমার স্ত্রী শামীমা নাসরীন সাইমা একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী। তিনি জেতার জন্য নির্বাচনে লড়ছেন। আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কেন আমাকে জেতাতে কাজ করবেন ?
উল্লেখ্য, সরকারী ত্রাণের ১৫ মেট্রিক টন চাল আত্মসাতের অভিযোগে ২০২০ সালের ২৮ এপ্রিল টৈটং ইউনিয়ন পরিষদের গত মেয়াদের চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা হয়। এরপর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের তদন্তে জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী কর্তৃক চাল আত্মসাতের বিষয়টি প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় গত বছরের ২৯ জুলাই স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় তাকে ওই পদ থেকে স্থায়ী বরখাস্ত করে চেয়ারম্যান পদ শূন্য ঘোষণা করে।