শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ওবায়দুর রহমান বলেছেন, লবণশিল্পের আড়ালে কোনো অজুহাতে খাবার লবণ আমদানি করতে দেওয়া হবে না। এ ব্যাপারে মন্ত্রণালয় কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে জেলা প্রশাসন ও বিসিকের আয়োজনে স্থানীয় লবণ মিল মালিক ও চাষিদের সঙ্গে বার্ষিক পর্যালোচনা সভায় শিল্প সচিব এসব কথা বলেন।
ওবায়দুর রহমান বলেন, দেশে লবণ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে প্রান্তিক লবণচাষি ও মিলমালিকদের অধিকার সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। সভায় অংশগ্রহণকারীরা মাঠপর্যায়ে লবণের ন্যায্যমূল্য নির্ধারণে মতামত তুলে ধরেছেন জানিয়ে শিল্পসচিব বলেন, উত্থাপিত প্রস্তাবনা সরকারের ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে পর্যালোচনা করে লবণের ন্যায্যমূল্য নির্ধারণে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া কক্সবাজারে জমি পেলে লবণ সংরক্ষণাগার গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে।
জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিসিক চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নিজামউদ্দিন আহমেদসহ সংশ্লিষ্টরা বক্তব্য দেন। সভায় বর্তমান লবণের মজুত, ন্যায্যমূল্য নির্ধারণ, লবণ মিলমালিক, প্রান্তিক চাষিদের সমস্যা ও লবণশিল্পের সম্ভাবনার বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
উল্লেখ্য, দেশের একমাত্র লবণ উৎপাদনকেন্দ্র কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের বাঁশখালী সমুদ্র উপকূল। প্রতিবছর নভেম্বর থেকে মে মাস পর্যন্ত লবণ উৎপাদনের মৌসুম ধরা হয়। এই সময়ে সাগরের লোনাপানি শুকিয়ে কক্সবাজারের কুতুবদিয়া, মহেশখালী, পেকুয়া, চকরিয়া, ঈদগাঁও, সদর ও টেকনাফ এবং পাশের চট্টগ্রামের বাঁশখালী ও পটিয়ার উপকূলে লবণ উৎপাদন করা হয়, যা থেকে পূরণ হয় দেশের সার্বিক লবণের চাহিদা।