কুমিল্লার মুরাদনগরের কড়ইবাড়ি গ্রামে তিনজনকে পিটিয়ে হত্যার (ট্রিপল মার্ডার) ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার আট আসামিকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ রোববার (১৩ জুলাই) কুমিল্লার আদালতের ১১ নম্বর আমলি আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মমিনুল হক এই আদেশ দেন।
সকালে তিন দিনের রিমান্ড শেষ হলে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের উপপরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নয়ন কুমার চক্রবর্তীর নেতৃত্বে আট আসামির স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়।
এ বিষয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ তানভীর আহমেদ ফয়সাল বলেন, ‘আমরা আসামিদের জামিন চেয়ে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আবেদন করেছি। তবে আবেদনটি এখনো শুনানির জন্য নেওয়া হয়নি।’
এর আগে ৮ জুলাই মামলাটি তদন্তের জন্য বাংগরা বাজার থানা থেকে কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) হস্তান্তর করা হয়। ৯ জুলাই আট আসামিকে আদালতে হাজির করে আট দিনের রিমান্ড আবেদন জানানো হয়। শুনানি শেষে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
উল্লেখ্য, ৪ জুলাই (বৃহস্পতিবার) সকালে মুরাদনগর উপজেলার আকুবপুর ইউনিয়নের কড়ইবাড়ি গ্রামে মাদক কারবারের অভিযোগে অভিযুক্ত রোকসানা আক্তার রুবির বাড়িতে হামলা চালানো হয়। হামলায় রুবি, তাঁর ছেলে রাসেল ও মেয়ে জোনাকি ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এ সময় তাঁর আরেক মেয়ে রুমা আক্তার গুরুতর আহত হন, তিনি এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পরদিন নিহত রুবির মেয়ে রিক্তা আক্তার বাদী হয়ে আকুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শিমুল বিল্লাহ শিমুলসহ ৩৮ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরও ২৫ জনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা করেন। পরে র্যাব ও সেনাবাহিনী যৌথ অভিযানে আটজনকে গ্রেপ্তার করে।