বেসরকারি ৬টি ব্যাংক থেকে চাকরিচ্যুত কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিক্ষোভের মুখে চট্টগ্রামের পটিয়ায় অন্তত ২০টি ব্যাংকের কার্যক্রম ৪ ঘণ্টা বন্ধ ছিল। আজ রোববার সকাল ৯টা থেকে বিক্ষুব্ধ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পটিয়ায় সব ব্যাংকের এটিএম বুথও অবরুদ্ধ করে রাখেন।
এতে বিপাকে পড়েন ব্যাংক ও এটিএম বুথে সেবা নিতে আসা মানুষেরা। পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বিক্ষোভকারীরা বেলা ১টার দিকে ব্যাংক গেট থেকে সরে থানার মোড়ে অবস্থান নেন।
চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পটিয়া সার্কেল) আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘চাকরিচ্যুত লোকজন বিভিন্ন ব্যাংকের সামনে অবস্থান নিয়েছিলেন। তবে সড়কে কোনো সমস্যা হয়নি। তাঁদের আমরা বুঝিয়ে সরিয়ে দিয়েছি। এখন ব্যাংকিং কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ৯টার দিকে পটিয়ায় অবস্থিত সব ব্যাংকের শাখার সামনে একযোগে অবস্থান নেন চাকরিচ্যুত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাঁদের বাধার মুখে ব্যাংকগুলোয় কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সেবাগ্রহীতা ঢুকতে পারেননি। এসব ব্যাংকের মধ্যে ৬টি সরকারি ও ১৪টি বেসরকারি।
আন্দোলনকারীদের ভাষ্য, গত বছরের ৫ আগস্টের পর এস আলমের মালিকানায় থাকা ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, আল আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক থেকে বিনা নোটিশে ৭ হাজারের বেশি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করা হয়।
আন্দোলনে অংশ নেওয়া সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের সাবেক কর্মী জানে আলম বলেন, ‘আমরা নিয়মনীতি মেনে চাকরিতে যোগ দিয়েছিলাম। কিন্তু সরকার পতনের পর দফায় দফায় বিভিন্ন ব্যাংক থেকে চট্টগ্রামের লোকজনকে “পটিয়াবাসী ট্যাগ” দিয়ে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।’
ঢাকা ব্যাংক পটিয়া শাখার ব্যবস্থাপক অহিদুল আলম বলেন, ‘আমাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ব্যাংকের ভেতরে ছিলেন। আন্দোলনকারীরা বিভিন্ন ব্যাংকের সামনে অবস্থান নেওয়ায় গ্রাহকেরা ব্যাংকে প্রবেশ করতে পারেননি। যাঁরা প্রবেশ করেছেন, তাঁদের সেবা দেওয়া হয়েছে।’ বেলা ১টা পর্যন্ত আন্দোলনকারীরা ব্যাংক গেটে অবস্থান করেন বলে জানান তিনি।