হোম > সারা দেশ > চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদায়ী ভিসির পায়ে হঠাৎ ছাত্রলীগ নেতা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

ঘটনাটি অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতারের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব শেষ করার আগের দিন ২০ মার্চের। লিফটের সামনে আগে থেকে অপেক্ষায় ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক তিন সহসভাপতি মইনুল ইসলাম রাসেল, মুজিবুর রহমান ও রুমেল হোসেন। উপাচার্য লিফট থেকে বের হতেই তাঁর পায়ে পড়ে যান মইনুল ও মুজিবুর। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র বলেছে, চাকরির দাবিতে এমন ঘটনা ঘটিয়েছিলেন ওই তিন নেতা।

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার তাঁর মেয়াদের পাঁচ বছরে ছয় শতাধিক শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে বেশ আলোচিত হন। শেষ কর্মদিবসেও তিনি ৪৪ জনকে নিয়োগ দিয়েছেন। ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পাঁচ দিন আগে শিরীণ আখতারকে জড়িয়ে ফেসবুকে বিস্ফোরক স্ট্যাটাস দেন মইনুল। সেখানে উপাচার্যের বিরুদ্ধে নিয়োগ-বাণিজ্যের অভিযোগের ইঙ্গিত ছিল। তবে পা ধরার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর মইনুলের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে সেই পোস্ট আর দেখা যাচ্ছে না।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র বলেছে, মইনুল ইসলাম রাসেল, মুজিবুর রহমান ও রুমেল হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের সাবেক শিক্ষার্থী। মইনুল শাখা ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক একাকার গ্রুপের নেতা। মুজিবুর ও রুমেল বগিভিত্তিক ভার্সিটি এক্সপ্রেস গ্রুপের নেতা। 

পায়ে পড়ার বিষয়ে মুজিবুর রহমান বলেন, ‘কয়েক মাস আগে উপাচার্যের বাসা ও অফিস ভাঙচুরের মামলার তদন্ত থেকে বাঁচতে মইনুলসহ আমরা ম্যাডামকে অনুরোধ করতে গিয়েছিলাম উনার বাসভবনের নিচে। মইনুলের ছোট ভাইয়ের শিক্ষক পদে চাকরি না পাওয়ার বিষয় নিয়ে ট্রেন অবরোধের ঘটনা ঘটেছিল। এরপর ঘটে ভাঙচুরের ঘটনা। এসব ঘটনায় তদন্ত কমিটি হয়।’ তিনি বলেন, ‘বিষয়টি যে এতটুকু গড়াবে, আমরা চিন্তা করিনি। তবে যেটা হয়েছে তার জন্য আমরা লজ্জিত।’ 

ভিডিওতে দেখা যায়, ড. শিরীণ আখতারের বাসার নিচে লিফটের সামনে আগে থেকেই দাঁড়িয়ে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক তিন নেতা। উপাচার্য বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পায়ে পড়ে যান ছাত্রলীগ নেতা মইনুল ইসলাম রাসেল ও মুজিবুর রহমান। পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন আরেক ছাত্রলীগ নেতা রুমেল হোসেন। পরে উপাচার্য তাঁদের হাত সরিয়ে দেন এবং দ্রুত গাড়িতে উঠে যান। এ সময় উপাচার্যকে উচ্চ কণ্ঠে বলতে শোনা যায়, ‘ওদের যেতে বলো, নইলে আমি পুলিশ ডাকব।’ 

এরপরও কোনোভাবেই হাল ছাড়তে চাচ্ছিলেন না তিন নেতা। তাঁরা গাড়ির দরজা আটকে কথা বলতে থাকেন। এ সময় শিরীণ আখতারও উচ্চ স্বরে নানা কথা বলছিলেন। পরে গাড়িটি ধীরে ধীরে এগোতে থাকলে সামনে বসে যান মইনুলরা। পরে অবশ্য তাঁরা হাল ছেড়ে দেন। এগিয়ে যায় উপাচার্যের গাড়ি। এ সময় গাড়ির পেছন পেছন ছুটে যেতেও দেখা যায় তিন নেতাকে। 

এ বিষয়ে ড. শিরীণ আখতার বলেন, ‘দায়িত্বে থাকলে কত প্রেশারে থাকতে হয়, কত কিছু সামাল দিতে হয়, এ ঘটনায় নিশ্চয় বুঝতে পারেন।’ তবে কেন তিন নেতা পায়ে পড়েছিলেন, সে বিষয়ে তিনি কিছু বলেননি।

আনোয়ারায় সড়কের পাশ থেকে উদ্ধার দুই শিশুর পরিচয় মিলেছে, বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে মামলা

মহাসড়কে দোকান যানজটে ভোগান্তি

ভোটের মাঠে: জয়ের সমীকরণ পাল্টে দেবে পাহাড়ি ভোটার

চাঁদপুরে হেফাজতে নির্যাতন, ৪ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা

চট্টগ্রামে থার্টি ফার্স্ট নিয়ে ৬ নির্দেশনা সিএমপির

খামারে ডাকাতের হানা, অস্ত্র ঠেকিয়ে ১২ গরু লুট

চন্দনাইশে অলিপুত্রের সমর্থনে সরে দাঁড়ালেন জামায়াতের প্রার্থী

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে জাতি অভিভাবকসুলভ নেতৃত্বকে হারাল: চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন

চট্টগ্রামে সংসদ নির্বাচন: তিন আসনে বিএনপির প্রার্থী নিয়ে উত্তেজনা

পেট্রোলিয়াম করপোরেশন: দেড় বছরেও চালু হয়নি ৮ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প