ছাত্রীকে হেনস্তার ঘটনার বিচার দাবিতে যখন বিক্ষোভে-মানববন্ধনে উত্তাল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি), তখন শিক্ষকেরা ব্যস্ত ফল উৎসবে! বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে ক্যাম্পাসজুড়ে। অবশ্য সংগীত বিভাগের শিক্ষকেরা অনুষ্ঠানটি বর্জন করেছেন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ মিলনায়তনে চবি শিক্ষক সমিতির বর্ষা বরণ, সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ও ফলাহার উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার। উৎসবে ২২ রকমের মৌসুমী ফল পরিবেশন করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে নিপীড়নের মতো জঘন্য ঘটনায় সবাই যখন প্রতিবাদে ব্যস্ত তখন জাতির বিবেক শিক্ষকেরা ব্যস্ত ফল উৎসবে। এটা অবিবেচনা প্রসূত কাজ। শিক্ষক সমিতির নেতাদের উচিৎ ছিল শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে বিবৃতি দেওয়া। কিন্তু ঘটনার চারদিন পরও শিক্ষক সমিতি ন্যক্কারজনক এই ঘটনার কোনো প্রতিবাদ জানায়নি। কোনো বিবৃতিও দেয়নি। এর পরিবর্তে শিক্ষার্থীরা যখন মাঠে বিক্ষোভ করছে, তখন তাঁরা উদরপূর্তিতে ফলাহার করছেন। এটা নৈতিকভাবে নেওয়া যায় না।
তবে ‘বর্ষা বরণ ও ফলাহার’ অনুষ্ঠানকে প্রতিবাদের হাতিয়ার হিসেবে দেখছেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. সজীব কুমার ঘোষ। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজ সকাল পর্যন্ত আমাদের কোনো শিক্ষক বলেন নাই এই আমাদের অনুষ্ঠানটা করা উচিৎ হবে না। আমরা অনুষ্ঠানটাকে প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে নেওয়ার জন্য কয়েকজন শিক্ষকের সঙ্গে আলাপ করেছি। সবাই বলেছেন, এটা ভালো হয়। আমরা এটা দিয়ে প্রতিবাদ করেছি। শিক্ষক সমাজ প্রতিবাদ করেছে। আমরা বিবৃতির দিকে যাব। আমাদের সভা থেকে বিবৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমরা বিবৃতিও দিব।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি সকালে সংগীত বিভাগে গিয়েছি। শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলেছি। ছাত্রদের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করেছি।’