চাঁপাইনবাবগঞ্জে আন্তনগর ট্রেন চালুর দাবিতে ট্রেন অবরোধ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন সর্বস্তরের মানুষ। সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সংগঠনের ব্যানারে আজ বুধবার সকাল ১০টায় শহরের রেলস্টেশনে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় মল্লিকা কমিউটার এক্সপ্রেস ট্রেন ৪০ মিনিট আটকে রাখা হয়।
৪০ মিনিটব্যাপী এই ট্রেন অবরোধে সভাপতিত্ব করেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সিনিয়র সহসভাপতি মো. খায়রুল ইসলাম। সঞ্চালনায় ছিলেন সুজনের সদস্য আবির। প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন সুজন জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও আন্দোলনের উদ্যোক্তা মো. মনোয়ার হোসেন জুয়েল।
এ সময় বক্তারা বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলযোগাযোগ-ব্যবস্থায় বঞ্চনার শিকার। এখন পর্যন্ত এই অঞ্চলের জনগণ তাঁদের প্রাপ্য ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত। বক্তারা চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে আন্তনগর ট্রেন চালু, যমুনা রেলসেতু হয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পর্যন্ত রেললাইন সম্প্রসারণ, রহনপুরকে স্থলবন্দর ঘোষণা এবং আমনুরাকে আধুনিক রেলজংশনে রূপান্তরের দাবি জানান।
তাঁরা আরও বলেন, ঢাকা-নাটোর-রাজশাহী হয়ে সোনামসজিদ স্থলবন্দর পর্যন্ত ছয় লেনবিশিষ্ট মহাসড়ক, সার্ভিস লেনসহ আধুনিক সড়ক নির্মাণ করতে হবে। এই ৮ দফা দাবি পূরণ না হলে আগামী দিনে আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হবে।
কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য দেন সাবেক সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মোখলেসুর রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল মাহমুদ, সাবেক কাউন্সিলর শাহনেওয়াজ খান সিনহা, রবিউল ইসলাম রবি, জামায়াতের আমির গোলাম রব্বানী, পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ধনজয় চ্যাটার্জি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সংগঠনের আহ্বায়ক আবদুর রহিমসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা।
মানববন্ধনে স্বাগত বক্তব্য দেন সুজনের চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর কমিটির সভাপতি মো. জমশেদ আলী। এ সময় জেলার বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, ব্যবসায়ীসহ সর্বস্তরের মানুষ অংশ নেন।
ট্রেন অবরোধ চলাকালে স্টেশনমাস্টার মো. ওবায়দুল হক আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাঁদের দাবি রেল কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছানোর আশ্বাস দেন। পরে তাঁর আশ্বাসে আন্দোলনকারীরা অবরোধ কর্মসূচি তুলে নেন।
আন্দোলনের বিষয়ে সুজন জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন জুয়েল বলেন, ‘আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। আমরা খুব শিগগির রেল উপদেষ্টা, রেলের মহাপরিচালক ও সড়ক বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্তদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করব। এরপর পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’
মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন চেম্বারের পরিচালক ও সুজন পৌর কমিটির সহসভাপতি শহিদুল ইসলাম, সুজন জেলা শাখার সহসভাপতি মো. মাসিদুর রহমান, প্রচার সম্পাদক মুনিরুল ইসলাম মুনির, সদর উপজেলা সভাপতি নুরে আলম সিদ্দিকী আসাদ, সাধারণ সম্পাদক জারিফ হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক সেলিম হোসেনসহ জেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।