চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার চামুচা ও চাঁনশিকারী সীমান্ত দিয়ে ১৯ জনকে পুশ ইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। আজ বুধবার ভোরে বিএসএফ ঠেলে পাঠানোর পর বিজিবি তাদের আটক করে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৫৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আটক ব্যক্তিদের মধ্যে ছয় নারী, ১০ জন পুরুষ ও তিনটি শিশু রয়েছে। তারা হচ্ছে—রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার সালাম শেখের ছেলে আসাদুল ইসলাম (৩৩), একই উপজেলার মনিরুল ইসলামের ছেলে দেলোয়ার হোসেন (২৮) ও বদরুজ্জামানের ছেলে হযরত আলী (২৮), কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ি উপজেলার হোসেন আলীর ছেলের এ বি এম আব্দুল মোতালেব (৪৭) ও মোতালেবের ছেলে মেহেদুল ইসলাম (২৩), একই উপজেলার শামছ উদ্দিনের ছেলে মোকছেদুল হক (৩০), আবু তাহের খন্দকারের মেয়ে শরিফা বেগম (২৫), মুননাফ খন্দকারের মেয়ে মুর্শিদা বিবি (৩৭) ও মোকছেদুল হকের ছেলে রমজান হক (৩)।
ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর উপজেলার গিয়াস উদ্দিনের মেয়ে শাপলা আক্তার (২১), একই উপজেলার মারুফ হোসেনের মেয়ে রুহি আক্তার (২) ও নড়াইল জেলার কালীয়া উপজেলার দোলা মিয়ার শেখের মেয়ে রেহেনা বেগম (৫৫), ঢাকা জেলার আশুলিয়া উপজেলার বাবুল হোসেনের মেয়ে সুমি (২৫), সুজনের ছেলে আব্দুল্লাহ (২ মাস), খুলনা জেলা সদর উপজেলার গোলাম মোস্তফার মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস (২৬), মাগুরা জেলা সদর উপজেলার মৃত শিবু দাস সিকদারের ছেলে সয়ন সিকদার (২২), চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার আমজাদ আলীর ছেলে লুৎফর রহমান (৩৮), যশোর জেলার চৌগাছা উপজেলার রওশেদ আলীর ছেলে আরিফ হোসেন (৩৮) এবং রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার নুরুল ইসলামের ছেলে আব্দুর রহমান (৩৭)।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিজিবি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘আজ (বুধবার) ভোর ৫টার সময় বিএসএফ ওই ১৯ জনকে সীমান্ত পিলার ১১৯/ ৪ সংলগ্ন এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে পাঠায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তারা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক। বিভিন্ন সময়ে অবৈধ পথে ভারতে কাজে গিয়ে তারা দেশটির পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে এবং তারা বিভিন্ন কারাগারে সাজাও খেটেছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’