অর্ধেক (হাফ) ভাড়াকে কেন্দ্র করে বরিশালে বিএম কলেজশিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাসশ্রমিকদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, সংঘর্ষ ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ২০-৩০টি বাস ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
আজ শনিবার রাতে বরিশালের কেন্দ্রীয় নথুল্লাবাদ বাসটার্মিনালে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৩০-৩৫ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কে যান চলাচল কয়েক ঘণ্টা ব্যাহত হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা গিয়ে রাত ৯টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন। হামলায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন উল ইসলাম জানিয়েছেন।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, তাঁদের ন্যায্য দাবি হাফ ভাড়া নিয়ে বাসশ্রমিকেরা সব সময়ই ঝামেলা করেন। এর আগেও রূপাতলী বাসটার্মিনালে এমন ঘটনা ঘটেছে। আজ (শনিবার) বাসটার্মিনালে আমাদের সহপাঠীর সঙ্গে খারাপ আচরণের কারণ জানতে গেলে পরিবহনশ্রমিকদের হামলায় ১৫-২০ শিক্ষার্থী আহত হন।
বিএম কলেজশিক্ষার্থী মো. রাজু বলেন, ‘আমাদের এক সহপাঠী হিজলা থেকে আসার পথে বাসে হাফ ভাড়া দিতে চাইলে তাঁর সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন শ্রমিকেরা। খবর পেয়ে আমরা বাসটার্মিনালে এসে জিজ্ঞাসা করলে আমাদের ওপর তাঁরা চড়াও হন।’
মো. তামিম নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমাদের সহপাঠীদের ওপর হামলার জবাব দিয়েছি। যতক্ষণ উচ্ছৃঙ্খল শ্রমিকদের বিচার না হবে, ততক্ষণ আমাদের এই প্রতিবাদ চলবে।’
অপর দিকে পরিবহনশ্রমিকেরা জানান, শিক্ষার্থীদের হামলায় ১০-১৫ জন পরিবহনশ্রমিক আহত হয়েছেন।
নথুল্লাবাদ বাসটার্মিনালের পরিবহনশ্রমিক নেতা পরিচয়ে আরজু মৃধা বলেন, ‘কলেজ বন্ধের দিনও হাফ ভাড়া দিতে চাওয়ায় বরিশাল-মুলাদী রুটের এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে বাসশ্রমিকের বিরোধ হয়। এরপর সন্ধ্যায় বিএম কলেজের কয়েক শ শিক্ষার্থী এসে নথুল্লাবাদ স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকা অর্ধশতাধিক বাস ভাঙচুর এবং একটিতে আগুন দেন। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। টার্মিনাল ভবনের ভেতরেও ব্যাপক ভাঙচুর চালান তাঁরা।’
বিমানবন্দর থানার ওসি মামুন উল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পরিস্থিতি বর্তমানে পুরোপুরি শান্ত রয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা রয়েছেন।’