বাংলাদেশের ২২ তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে মো. সাহাবুদ্দিনকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়া নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেছেন পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি হৃদয় আশীষ। দলে এত রাজনীতিবিদ থাকতে তাঁকে রাষ্ট্রপতি বানানোকে অস্বাভাবিক মনে করেন তিনি। এ সংক্রান্ত কপি পোস্ট শেয়ার করে সমালোচনার মুখে তিনি পরে তা ডিলিট করে দেন।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ওই পোস্ট দেওয়া হলেও এ নিয়ে আজ এলাকায় আলোচনা শুরু হলে অনেকের নজরে আসে। তবে হৃদয় আশীষ দাবি করেন, তাঁর আইডি হ্যাক করে ওই পোস্ট দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘এটি মূলত ঢাকার এক সিনিয়র সাংবাদিকের পোস্ট ছিল। যা পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের একটি গ্রুপেও শেয়ার করা হয়।’
হৃদয় আশীষ আরও বলেন, আগেও কয়েক দফা তাঁর আইডি হ্যাক হওয়ার পর থানায় জিডি করেছেন। তবে এবার তিনি থানায় জিডি করেননি। পোস্টটি আট-নয়জনকে ট্যাগ করে পোস্ট দেওয়া হয়েছিল।
এ বিষয়ে পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব। কারও ব্যক্তিগত আক্রোশ বা কারও ব্যক্তিগত মতামত বাংলাদেশ ছাত্রলীগ পটুয়াখালী জেলা শাখা মেনে নেবে না।’
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আলমগীর বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ও দলের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারকদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে এ রকম প্রোপাগান্ডা ছড়াবে এমন দুঃসাহস কারও নেই। আমি পোস্টদাতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমি দলীয় সিদ্ধান্তের বিষয়ে জিরো টলারেন্স।’