নির্বাচন কমিশনের প্রতীকের তালিকায় শাপলাকলি প্রতীক অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপির) দক্ষিণাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, ‘নির্বাচন কমিশনে ব্যক্তিসর্বস্ব স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্ত আমরা দেখেছি। আমরা শুরু থেকে বলেছি, এই নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কোনো নীতিমালা নেই। তারা কোন নীতিমালার আন্ডারে শাপলাকলি প্রতীক অন্তর্ভুক্ত করেছে? কোন নীতিমালার কারণে তারা শাপলাকে অন্তর্ভুক্ত করবে না? এটা কি তারা স্পস্ট করেছে? করেনি। অন্যান্য রাজনৈতিক দলকে কোন নীতিমালার কারণে তাদের প্রতীক দিয়েছে, সেটা কি স্পষ্ট করেছে? সেটাও করেনি। তার মানে এ নির্বাচন কমিশনের মার্কা সংযুক্তিকরণ বা না করণের যে বিষয়টি...মধ্যযুগীয়ভাবে এ বিষয়গুলো ডিল করছে নির্বাচন কমিশন।’
আজ শনিবার (১ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে বরগুনা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে দলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে আয়োজিত সমন্বয় সভায় সাংবাদিকদের সামনে এসব কথা বলেন হাসনাত আবদুল্লাহ।
এনসিপির এ নেতা বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়, নির্বাচন কমিশনে অনেকগুলো পক্ষের শক্তি জড়িত।’ তিনি বলেন, যারা বিএনপিপন্থী কমিশনার আছেন, তাঁরা বিএনপির পারপাস সার্ভ করেন, যাঁরা জামায়াতপন্থী আছেন, তাঁরা জামায়াতের পারপাস সার্ভ করেন। আর যাঁরা আর্মিপন্থী নির্বাচন কমিশনার আছেন, তাঁরা আর্মিদের পারপাস সার্ভ করেন। এই কমিশনে আবার অসংখ্য আওয়ামী লীগপন্থী চাকরিজীবী রয়েছেন। তাঁদের বিষয়ে কি নির্বাচন কমিশনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে? নেয়নি।
হাসনাত আবদুল্লাহ আরও বলেন, ‘আমরা এনসিপি—আমাদের অবস্থান পরিবর্তন করিনি। নির্বাচন কমিশন তাদের অবস্থান পরিবর্তন করেছে স্বেচ্ছাচারীভাবে। সংস্কার নিয়ে আর আমাদের মার্কা নিয়ে আমরা সব সময় একটা অবস্থানে ছিলাম।’
এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘যদি আমাদের শাপলা বরাদ্দ না দেন, তার ব্যাখ্যা দিতে হবে। আইনগত জায়গা থেকে ব্যাখ্যা দিতে হবে। নির্বাচন কমিশন বলেছে, “আমরা কেন শাপলা দিব না তার ব্যাখ্যা দিব না।” এটা কি কোনোভাবে সম্ভব?’
হাসনাত বলেন, ‘ব্যাখ্যাবিহীন রাষ্ট্র ৫ আগস্টের আগে ছিল। হাসিনা যখন চালাইত, তখন ব্যাখ্যাবিহীন চালাইত, জবাবদিহিবিহীন চালাইত। কিন্তু ৫ আগস্টের পরে এই নির্বাচন কমিশন যদি মনে করে থাকে তারা জবাবদিহিবিহীন কোনো একটি সিদ্ধান্ত নিয়ে নিবে, আর আমরা সেটা মেনে নিব, সেটা সম্ভব না।’