বাগেরহাট জেলার চারটি সংসদীয় আসন কমিয়ে তিনটি করার প্রতিবাদে মশাল মিছিল করেছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। আজ বুধবার রাতে কচুয়া উপজেলার বাধাল বাজারে সহস্রাধিক নেতা-কর্মী এই মশাল মিছিলে অংশ নেন। মিছিলটি বাধাল বাজারের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে বাজারের তিন রাস্তা মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন বাগেরহাট জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি খান মনিরুল ইসলাম, কচুয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক খান শহীদুজ্জামান মিল্টন, গোপালপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোল্লা আনোয়ার হোসেন, কচুয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি শহিদুল ইসলাম খোকন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে বাগেরহাটে চারটি আসন থাকলেও নতুন প্রস্তাবে রামপালকে বাগেরহাট-২ আসনে এবং মোংলাকে বাগেরহাট-৪ আসনে যুক্ত করে মোট আসনসংখ্যা তিনটিতে নামিয়ে আনা হয়েছে। একই সঙ্গে বাগেরহাটকে “এ” গ্রেড থেকে “বি” গ্রেডে নামিয়ে আনা হয়। এটা স্পষ্ট ষড়যন্ত্র। আমরা এসব মানি না। নির্বাচন কমিশন যদি প্রস্তাব থেকে ফিরে না আসে, তাহলে আরও কঠোর আন্দোলন করা হবে। এ ছাড়া আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত কাটাখালীসহ বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার জন্য সবাইকে আহ্বান জানান বক্তারা।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে বাগেরহাটে চারটি আসন ছিল। ৩০ জুলাই দুপুরে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাটের চারটি আসনের মধ্যে একটি অংশ কমিয়ে জেলায় তিনটি আসন করার প্রাথমিক প্রস্তাব দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এর পর থেকেই বাগেরহাট জেলাবাসী ক্ষোভে ফুঁসে ওঠেন। একের পর এক কর্মসূচি দিতে থাকে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি। এর অংশ হিসেবে বিক্ষোভ মিছিল, জেলা প্রশাসক ও নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে স্মারকলিপি, এমনকি ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনও করেছেন বাগেরহাটবাসী। আসন কমানো অথবা বহাল রাখার বিষয়ে ২৫ আগস্ট নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।