ময়মনসিংহের ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস (২৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার পর মরদেহ পুড়িয়ে দেওয়ার মামলায় আরও ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো। গ্রেপ্তার ছয়জন দিপুকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দিতে বাধ্য করেছিল বলে জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে জেলা পুলিশের কার্যালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
এর আগে বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ি ইউনিয়নের কাশর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ছয় আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। নতুন গ্রেপ্তার ছয় আসামি হলেন সুনামগঞ্জের তাকবির (২২), ঠাকুরগাঁওয়ের রুহুল আমিন (৪২), ময়মনসিংহ সদরের নূর আলম (৩৩), একই জেলার তারাকান্দা উপজেলার মো. শামীম মিয়া (২৮) নোয়াখালীর সেলিম মিয়া (২২) এবং মাদারীপুরের মো. মাসুম খালাসী (২৩)।
এর আগে গ্রেপ্তার ১২ আসামি হলেন আশিকুর রহমান (২৫) কাইয়ুম (২৫), মো. লিমন সরকার (১৯), মো. তারেক হোসেন (১৯), মো. মানিক মিয়া (২০), এরশাদ আলী (৩৯), নিজুম উদ্দিন (২০), আলমগীর হোসেন (৩৮), মো. মিরাজ হোসেন আকন (৪৬), মো. আজমল হাসান সগীর (২৬), মো. শাহিন মিয়া (১৯) ও মো. নাজমুল (২১)।
গত বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে ভালুকার জামিরদিয়া এলাকার পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস বিডি লিমিটেড কারখানায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগে দিপুকে গণপিটুনি দেয় উত্তেজিত জনতা। পরে তাঁর মরদেহ ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে নিয়ে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে রাত আড়াইটার দিকে অর্ধপোড়া মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
গত শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে নিহত ব্যক্তির ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ১৫০-১৬০ জনকে আসামি করে ভালুকা থানায় মামলা দায়ের করেন।
ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, গ্রেপ্তার ছয় আসামি ফ্যাক্টরির ভেতরে উপস্থিত কর্মচারীদের উসকানি দিয়ে ফ্যাক্টরির বাইরে ধর্ম অবমাননার বিষয়টি ছড়িয়ে দেওয়া এবং দিপুকে রিজাইন দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন। কেন ওই যুবককে পুলিশের হাতে না দিয়ে জনতার হাতে তুলে দেওয়া হলো, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।