ঝিনাইদহ-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বিমানবাহিনীর উইং কমান্ডার (অব.) মীর আমিনুল ইসলাম। তিনি জেলা বঙ্গবন্ধু সেনা পরিষদের সভাপতি। সোমবার কালীগঞ্জ উপজেলা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা রেজওয়ানা নাহিদের কাছে তিনি মনোনয়নপত্র জমা দেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তার তথ্যমতে, ঝিনাইদহ-৪ (কালীগঞ্জ ও আংশিক সদর) আসনে মোট ৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তাঁরা হলেন বিএনপির প্রার্থী সদ্য পদত্যাগ করা গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন, জামায়াতের মো. আবু তালিব, জাতীয় পার্টির এমদাদুল ইসলাম বাচ্চু, গণফোরামের খনিয়া খানম ও ইসলামী আন্দোলনের আব্দুল জলিল। স্বতন্ত্র মীর আমিনুল ইসলাম, মুর্শিদা খাতুন, মো. ওবায়দুল হক রাসেল ও মো. সাইফুল ইসলাম ফিরোজ।
এদিকে মীর আমিনুল ইসলাম দলের পরিচয় গোপন করে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ায় এলাকার মানুষের মধ্যে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, বর্তমানে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকায় তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছেন।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে মীর আমিনুল ইসলাম বলেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি এখন দলীয় কোনো পদে নেই। একসময় বঙ্গবন্ধু সেনা পরিষদ গঠন করে পদ চেয়েছিলাম কিন্তু কোনো পদ পায়নি, উল্লেখ করে বলেন, এলাকার মানুষ আমাকে চাচ্ছে। আমি চাই কালীগঞ্জে উন্নয়ন। আমি আধুনিক কালীগঞ্জ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি।’
এ বিষয়ে ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি এম এ মজিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যখন মানুষ গণতন্ত্রের স্বপ্ন দেখছে। সেই মুহূর্তে ফ্যাসিস্টের দোসর গণতন্ত্র বাধাগ্রস্ত করার জন্য এ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চেয়েছে, এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষের দিন ৪টা পর্যন্ত আমরা উপস্থিত ছিলাম। সে পর্যন্ত তিনি যাননি ওখানে। এ ঘটনায় আমি ধিক্কার ও নিন্দা জানাচ্ছি।’