চেয়ারম্যান ও সচিব ছিলেন কুলখানির দাওয়াতে। আর সেবার আশায় ইউনিয়ন পরিষদে এসে ঘণ্টাখানেক অপেক্ষার পর হতাশ হয়ে পড়েন আগত সাধারণ মানুষ। ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা, তালা ঝুলিয়ে দেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সচিবের কক্ষে। আজ মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার সয়ার ইউনিয়ন পরিষদে এ ঘটনা ঘটে।
এরপর শুরু হয় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ। স্থানীয়রা বলছেন, পরিষদে নিয়মিত পাওয়া যায় না চেয়ারম্যান আল ইবাদত হোসেন পাইলট ও সচিব মোজাহারুল ইসলামকে। অন্যদিকে চেয়ারম্যানের দাবি, এটি একটি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। যেখানে রাজনৈতিক দলের লোকজন তাঁকে হেনস্তা করতেই পরিকল্পিতভাবে তালা লাগিয়েছে।
ইউপি চেয়ারম্যান আল ইবাদত হোসেন পাইলট অভিযোগ করে বলেন, ‘সেবাপ্রার্থীরা তালা লাগাইনি। তালা লাগিয়ে রাজনৈতিক দলের লোকজন। আমাকে পরিকল্পিতভাবে হেনস্তা করার জন্য তারা এ কাজ করেছে। আমি নিয়মিত পরিষদে আসি। আমার ইউনিয়নের মানুষ জানে আমি কেমন মানুষ।’
এ বিষয়ে ইউএনও রুবেল রানা বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তালা লাগানোর বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তাই তালা ভেঙে পরিষদের স্বাভাবিক কার্যক্রম চালানোর জন্য চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও হিসাব সহকারী ওই সময় অনুপস্থিত থাকার যে অভিযোগ করা হয়েছে। তদন্ত করে সত্যতা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’