নাটোরের বড়াইগ্রামে সোহাগ হোসেন (২২) নামের এক যুবকের মুখমণ্ডল থেঁতলানো ও ডান চোখ উপড়ানো লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যায় বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কের আগরান ফিলিং স্টেশন এলাকার পাশের ঝোপ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। এর আগে দুই দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন ওই যুবক। রোববার সকালে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
সোহাগ হোসেন বড়াইগ্রাম উপজেলার চকবড়াইগ্রাম গ্রামের নাজমুল ইসলামের ছেলে। এই ঘটনায় শনিবার রাতে সোহাগের ভাই আবু হানিফ প্রতিবেশী আকাশ হোসেনকে আসামি করে বড়াইগ্রাম থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে প্রতিবেশী আকাশ হোসেন শ্যালো ইঞ্জিনচালিত ট্রলি থেকে বালু নামানোর কাজের কথা বলে সোহাগ হোসেনকে ডেকে নিয়ে যান। পরে ভোরে আকাশ হোসেন একাই বাড়ি ফিরে আসেন এবং সোহাগ পরে বাড়ি ফিরবেন বলে জানান। তবে দুই দিনেও সোহাগ ফিরে না আসায় শুক্রবার সন্ধ্যায় তাঁর মা পারভীন বেগম বড়াইগ্রাম থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
শনিবার সন্ধ্যায় মহাসড়কের পাশে ঝোপের মধ্যে লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশে খবর দেন। পরে সোহাগ হোসেনের স্বজনেরা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি শনাক্ত করেন। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত আকাশ হোসেন পলাতক রয়েছেন।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস ছালাম বলেন, নিখোঁজের সাধারণ ডায়েরির পর থেকেই পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছিল। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।