হোম > সারা দেশ > ঢাকা

শ্বশুরবাড়ি যাওয়া হলো না জাবি শিক্ষক মৌমিতার

পাবনা প্রতিনিধি

বাবা-মায়ের সঙ্গে জাবি শিক্ষক মৌমিতা। ছবি: সংগৃহীত

গত জানুয়ারি মাসে পারিবারিকভাবে বিয়ে রেজিস্ট্রি হয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) চারুকলা বিভাগের শিক্ষক জান্নাতুল ফেরদৌস মৌমিতার। পরিবারের স্বপ্ন, একমাত্র সন্তানকে জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনের মাধ্যমে শ্বশুরবাড়িতে পাঠানো। কিন্তু তা আর হলো না। মাত্র ৩০ বছর বয়সেই পরপারে পাড়ি জমালেন তিনি।

আজ শুক্রবার সকালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে ভোট গণনার দায়িত্ব পালনের সময় অচেতন হয়ে পড়েন তিনি। পরে তাঁকে সাভারের এনাম মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

তাঁর মৃত্যুতে বিশ্ববিদ্যালয়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সহকর্মী কিংবা শিক্ষার্থী—কেউই যেন এ মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না। অপরদিকে পাবনার যে বাড়িতে তাঁর বিয়ের ধুমধাম অনুষ্ঠান করার কথা ছিল, সেই রাবেয়া ভিলায় এখন চলছে শোকের মাতম।

পাবনার নিজ বাড়িতে স্বজনদের মাতম। ছবি: আজকের পত্রিকা

জান্নাতুল ফেরদৌস মৌমিতা পাবনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও অবসরপ্রাপ্ত সহকারী অধ্যাপক রুমি খন্দকার এবং পাবনা কলেজের সাবেক সহকারী অধ্যাপক লুৎফুন্নাহার পলির একমাত্র সন্তান।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৫ সালে জন্ম নেওয়া জান্নাতুল ফেরদৌস মৌমিতা ছোট থেকেই মেধাবী ছিলেন। ২০০৯ সালে পাবনা সরকারি বালিকা বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং ২০১১ সালে পাবনা মহিলা কলেজ থেকে গোল্ডেন জিপিএ-৫ নিয়ে পাস করার পর ভর্তি হন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানেই অনার্স ও মাস্টার্স শেষে ২০২১ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে শিক্ষকতা শুরু করেন।

বাবা রুমি খন্দকার বলেন, ‘জাকসু নির্বাচনের দায়িত্ব শেষে রাত ১২টার দিকে শিক্ষক কোয়ার্টারে তার বাসায় গিয়েছিল। পরে সকালে যখন তাকে নির্বাচনের ভোট গণনার কক্ষে ডাকা হয়, তখন আবার সেখানে যায়। সকাল ৮টা ১৮ মিনিটে তার সঙ্গে শেষ মেসেজ ছিল হোয়াটসঅ্যাপে, ‘বাবা আমি ভোট গণনা করতে যাচ্ছি।’ কিন্তু কক্ষে ঢোকার আগেই দরজার সামনেই সে পড়ে যায়। পরে তার মৃত্যু হয়। গতকাল ভোট গ্রহণের পর আমার সঙ্গে ওর কথা হয় এবং নির্বাচন নিয়ে বেশ খুশি ছিল।’

পাবনার নিজ বাড়িতে স্বজনদের মাতম। ছবি: আজকের পত্রিকা

আজ দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের সামনে জান্নাতুল ফেরদৌস মৌমিতার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিপুলসংখ্যক শিক্ষক-শিক্ষার্থী অংশ নেন। পরে মরদেহ নিয়ে পাবনার উদ্দেশে রওনা করেন স্বজনেরা।

পাবনা পৌর এলাকার নিজ মহল্লা কাচারিপাড়া জামে মসজিদে বাদ এশা তাঁর দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে পাবনার আরিফপুর কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হবে।

হাতিয়ায় ৫৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ, এতিমখানায় বিতরণ

মাঠে পড়ে ছিল মাছ ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত লাশ

বাসার দরজা ভেঙে চবি শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

বদলি নিয়ে ফেসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ শিক্ষক নেতার

আমনের বাম্পার ফলনেও মুখে হাসি নেই কৃষকের, বাজারে ধানের দাম কমায় হতাশা

পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস

গলায় রশি পেঁচানো নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার

পাহাড়ে ভুট্টা চাষে ভালো ফলন পেলেন কৃষক জয়নাল

ট্রাকচাপায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

তরমুজ ‘বিপ্লবে’ সারসংকট