হোম > সারা দেশ > মাগুরা

নতুন বউ রেখে রোজগারের জন্য জাহাজে গিয়েছিলেন সজিবুল, ফিরলেন লাশ হয়ে

মহম্মদপুর (মাগুরা) প্রতিনিধি

নিহত সজিবুল মুন্সি। ছবি: সংগৃহীত

‘আমার মেঝ ছেলে সজিব। ৩ মাস হইছে তারে বিয়ে দিছি। সে কোর্স করছে, পরীক্ষা দিয়ে জাহাজের মাস্টার হবে। তার বেতন বাড়বি। মা-বাবা বউ নিয়ে সুখে থাকবে, কিন্তু তা আর হলো না।’

আজ মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) আহাজারি করতে করতে কথাগুলো বললেন জাহাজে হতাহতের ঘটনায় নিহত সজিবুল মুন্সির বাবা দাউদ মুন্সী। গতকাল সোমবার (২৪ ডিসেম্বর) চাঁদপুরে জাহাজে হতাহতের ঘটনায় নিহত সাতজনের মধ্যে দুজন মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার। তাঁদের একজন সজিবুল মুন্সি (২২)। অন্যজন হলেন—মাজেদুল ইসলাম (১৬)। দুজনই তিন-দুদিন সপ্তাহ আগে কাজে যোগ দিয়েছিলেন।

নিহত সজিবুল ইসলাম উপজেলার পলাশবাড়ীয়া গ্রামের দাউদ মুন্সির ছেলে। ১৭ দিন আগে জাহাজে গ্রিজারের দায়িত্ব পালনের জন্য কাজে যোগ দেন। ১৫ দিন কাজ করার পর তিনি হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। তিন মাস আগে বিয়ে করেন তিনি।

নিহত দুজনের পরিবারে চলছে শোকের মাতম। স্বজনদের সমবেদনা জানাতে তাঁদের আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীরা ছুটে আসছেন বাড়িতে।

সজিবুল মুন্সীর স্ত্রী প্রিয়া বলেন, ‘আমাদের নতুন বিয়ে হইছে। আমার স্বামী আমার মুখে হাসি ফোটাতে চেয়েছিল। সে বলছিল পদোন্নতি হলে বেতন বাড়বে। আনন্দে থাকব। এখন ভবিষ্যৎ নিয়েই আমি দুঃশ্চিন্তায় পড়ে গেছি। সামনে কী কবর জানি না।’

মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহমান বলেন, ‘এ হত্যাকাণ্ডের খবর শোনার পরে তাদের পরিবারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছি।’

আড়িয়াল খাঁ নদের তীর থেকে অটোরিকশাচালকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার

৬৭ বছর পর রামেক হাসপাতালে মানসিক রোগীদের জন্য পূর্ণাঙ্গ ওয়ার্ড

রাজমিস্ত্রির বাড়ি থেকে অস্ত্র-গুলি উদ্ধার

চাঁদপুরে নতুন ভোটারদের নিয়ে ‘নির্বাচনী অলিম্পিয়াড’

চায়ের দোকানে চলে একটি বাতি-ফ্যান, বিদ্যুৎ বিল এল সাড়ে ৫৫ হাজার টাকা

বাসার বাথরুমে পড়ে ছিল নারী প্রভাষকের লাশ, মাথায় আঘাতের চিহ্ন

অটোরিকশাকে চাপা দিল বাস, প্রাণ গেল শিশুসহ চারজনের

হাতিয়ায় ৫৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ, এতিমখানায় বিতরণ

মাঠে পড়ে ছিল মাছ ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত লাশ

বাসার দরজা ভেঙে চবি শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার