বাগেরহাট জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের অফিস সহায়ক মো. মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষকেরা।
বিভিন্ন স্থান থেকে আসা মাধ্যমিক পর্যায়ের কিছু শিক্ষক আজ মঙ্গলবার দুপুরে বাগেরহাট প্রেসক্লাবের সামনে জড়ো হয়ে মানববন্ধন করেন। তবে অল্প কিছুক্ষণ পরই তাঁরা কর্মসূচি স্থগিত করেন।
মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, মোরেলগঞ্জ উপজেলার সানকিভাংগা গ্রামের বাসিন্দা মনিরুল ২০০৪ সালে বাগেরহাট সরকারি বালক বিদ্যালয়ে ১ হাজার ৫০০ টাকা বেতনে দারোয়ান হিসেবে চাকরি শুরু করেন। এরপর বদলি হয়ে ২০০৬ সালে জেলা শিক্ষা অফিসে যোগ দেন। অভিযোগ রয়েছে, এই অফিসে দীর্ঘদিন থেকে কর্মকর্তা ও শিক্ষকদের ওপর প্রভাব তৈরি করেছেন। তিনি কয়েক কোটি টাকার সম্পদ গড়েছেন। তাঁর শহরের পিসি কলেজ রোডে চারতলা বাড়ি, মুনিগঞ্জ ও গোটাপাড়ায় জমি এবং ব্যাংকে রয়েছে বিপুল অঙ্কের টাকা।
মানববন্ধনে আসা মেফতা উদ্দিন নামের এক শিক্ষক বলেন, টাকা ছাড়া শিক্ষা অফিসের ফাইল নড়ে না। আর ফাইল নাড়াতে হলে মনিরুলদের কাছে ধরনা দিতে হয়। তাঁর হাত ভরলেই কাগজে গতি আসে।
জানতে চাইলে মনিরুল বলেন, ‘পৈতৃক ৯ কাঠা জমিতে চাষাবাদ করি। সেই আয় ও পরিশ্রমের কারণেই এ অবস্থানে এসেছি।’
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে বাগেরহাট জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এস এম সাইদুর ইসলাম বলেন, অফিসের কর্মচারীরা কে কীভাবে অর্থ-বৈভবের মালিক হয়েছেন, তা তিনি জানেন না। তবে কেউ যদি অভিযোগ করেন, তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।