বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) শাখা ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটি নিয়ে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে এবং নবগঠিত কমিটিকে বিতর্কিত করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন শাখা ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। আজ শনিবার বেলা ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন তাঁরা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন বেরোবি শাখা ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটির সহসভাপতি মো. তুহিন রানা। এ সময় আরও উপস্থিত উপস্থিত ছিলেন সভাপতি মো. ইয়ামিন, সাধারণ সম্পাদক মো. জহির রায়হান, সহসভাপতি মো. মাইদুল ইসলাম বাপ্পি, সহসভাপতি মো. তুহিন রানা, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. রিফাত হোসেন রাফি, সাংগঠনিক সম্পাদক সজিব গাজী, দপ্তর সম্পাদক মো. সুমন হোসাইন, প্রচার সম্পাদক মো. মাসুদ রানা এবং ছাত্রীবিষয়ক সম্পাদক মোছা. আসমা আক্তার খুশিসহ শাখা ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা।
লিখিত বক্তব্যে তুহিন রানা বলেন, ‘উন্মুক্ত ঘোষণার মাধ্যমে বলা হয়েছিল নেতৃত্ব বাছাইয়ের ক্ষেত্রে ত্যাগী, নির্যাতিত, বিতর্কিত নন শিক্ষার্থীদের মাঝে সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য নেতা-কর্মীদের দ্বারা নতুন কমিটি গঠন করা হবে, যা হবে আংশিক। সবকিছু দীর্ঘ যাচাই-বাছাই শেষে গত ২৭ নভেম্বর ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদ কর্তৃক বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের ৯ সদস্যবিশিষ্ট আংশিক কমিটি প্রকাশ করা হয়েছে।
‘কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় যে কমিটি ঘোষণার কয়েক দিন পর ইমরান নামে ছাত্রদল নেতার পরিচয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রাক্তন শিক্ষার্থী একটি গোষ্ঠীর প্ররোচনায় অত্যন্ত গ্রহণযোগ্য এই কমিটি নিয়ে আর্থিক লেনদেনসহ কিছু অভিযোগ উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলন করে, যা সম্পূর্ণরূপে উদ্দেশ্যমূলক মিথ্যা বানোয়াট ও মানহানিকর।’
তুহিন আরও বলেন, ‘ছাত্রদল সব সময় ত্যাগ ও যোগ্যতার ভিত্তিতেই কমিটি দিয়ে থাকে। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের নতুন কমিটি তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। আমরা মুসা ভাইকে (কমিটি গঠনের দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় সহসভাপতি) এক কাপ চা বা নাশতা পর্যন্ত করাতে পারিনি। ইমরান নামক ওই প্রাক্তন শিক্ষার্থী উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অপপ্রচারের মাধ্যমে দলের ক্ষতি সাধন করেছেন; এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল। অবিলম্বে তার ওই বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানানো হচ্ছে, অন্যথায় দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
উল্লেখ্য, ৪ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার শাখা ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটি ২০ লাখ টাকার বিনিময়ে করা হয়েছে এবং সভাপতি প্রার্থী ইমরান হোসেনের থেকে ২ লাখ টাকা নিয়ে আরও ১০ লাখ টাকা চাওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছিল পদবঞ্চিত সেই সভাপতি প্রার্থী।