ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মইনুল খানের দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার আইনজীবী সাগরিকা ইসলাম জানান, গতকাল বুধবার এস এম মোরশেদের পক্ষে এই রিট করা হয়। আগামী সপ্তাহে রিটটি শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হবে।
আবেদনে ড. মইনুল খানের আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং মইনুল খানের বিরুদ্ধে কেন আইনগত পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না—তা জানতে চেয়ে রুল জারির আরজি জানানো হয়েছে।
রুল বিচারাধীন থাকাবস্থায় দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে সাত দিনের মধ্যে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন ও ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া মইনুল খানের দেশ ছাড়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়েছে।
আবেদনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, জনপ্রশাসনসচিব, অর্থসচিব, বাণিজ্যসচিব, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব, এনবিআর চেয়ারম্যান, দুদক চেয়ারম্যান, পুলিশের বিশেষ শাখার অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক, বিশেষ পুলিশ সুপার (ইমিগ্রেশন) এবং ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মইনুল খানকে বিবাদী করা হয়েছে।
এর আগে গত বছরের ২ এপ্রিল মইনুল খানের ঘুষ-বাণিজ্য, অর্থ পাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়ে অনুসন্ধান চেয়ে দুদক চেয়ারম্যান বরাবর মতিঝিলের ব্যবসায়ী এস এম মোরশেদ আবেদন করেন। কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় ২০ অক্টোবর আইনি নোটিশ দেওয়া হয়। তাতেও সাড়া না পেয়ে রিট করা হয়।