নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে মেঘনার তীরে চট্টগ্রাম থেকে ভাড়ায় আনা জাহাজ কেটে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আজ বুধবার নজরুল ইসলাম নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে ১৫ দিন ধরে উপজেলার কাদিরগঞ্জ এলাকার মেঘনা নদীর তীরে এইচবি হারুন অ্যান্ড ব্রাদার্স শিপইয়ার্ডে জাহাজটি কাটা হয়। গতকাল মঙ্গলবার জাহাজের মালিক রাকেশ শর্মা বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় ছাত্রদলের সাবেক নেতাসহ সাতজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন।
গ্রেপ্তার নজরুল ইসলাম নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার চরবগুলা গ্রামের ইমানুল হকের ছেলে।
জানা যায়, সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের ছেলে জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি শাহাদাত হোসেন সিন্ডিকেট করে চট্টগ্রাম থেকে ডাম্ব বার্জ (ডিবি) নামের একটি জাহাজ ৭ লাখ ২০ হাজার টাকা এক মাসের চুক্তিতে (১ নভেম্বর) ভাড়া করে নিয়ে আসেন।
পরের শাহাদাতের নেতৃত্বে মো. জাফর, ইকবাল হোসেন, নজরুল ইসলাম, এমদাদুল হক, জাফর মিয়া, হোসেনসহ ১০-১৫ জনের একটি সিন্ডিকেট কাদিরগঞ্জ এলাকায় মেঘনা নদীর তীরে এইচবি হারুন অ্যান্ড ব্রাদার্স মেঘনা শিপইয়ার্ডে জাহাজটি কেটে বিক্রি করেন। গত রোববার মোবাইল ফোনে পরিচিত এক ব্যক্তির কাছ থেকে বিষয়টি জানতে পারেন রাকেশ শর্মা।
খবর পেয়ে তিনি ওই দিন রাতে ঘটনাস্থলে গিয়ে জাহাজ কাটার সত্যতা পান। এতে তাঁর ১ কোটি ৬০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান। গতকাল মঙ্গলবার রাতে রাকেশ শর্মা বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় মামলা করেন।
ভুক্তভোগী রাকেশ শর্মা জানান, তাঁর সঙ্গে এক মাসের চুক্তিতে মো. জাফর মাল টানার জন্য জাহাজটি ভাড়া করে নিয়ে আসেন। কিন্তু তিনি সিন্ডিকেট করে সোনারগাঁয়ে বিএনপি নেতার ছেলে শাহাদাত তাঁদের শিপইয়ার্ডে কেটে বিক্রি করে দেন। বিষয়টি নিয়ে শাহাদাতের বাবা রফিকুল ইসলাম ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিয়ে টালবাহানা করেন। পরে তিনি মামলা করেন।
অভিযুক্ত শাহাদাত হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁর মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। পরে খুদে বার্তা দিলেও সাড়া দেয়নি। তবে তাঁর বাবা শিপইয়ার্ডের মালিক বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম জানান, বিষয়টি জানতে পেরে জাহাজ কাটা বন্ধ রাখা হয়েছে। মালিকপক্ষের সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা চলছে।
এ বিষয়ে সোনারগাঁ থানার তদন্ত কর্মকর্তা মো. রাশেদুল হাসান খান বলেন, মালবাহী জাহাজ কেটে বিক্রির ঘটনায় মামলা নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁকে নারায়ণগঞ্জ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।