চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার মেঘনা নদীতে এমভি আল বাখেরা জাহাজ থেকে যাদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে তাঁদের একজন গোলাম কিবরিয়া বিশ্বাস (৬০)। তিনি জাহাজের মাস্টার ছিলেন। তবে তাঁর সঙ্গে একই জাহাজে লস্কর হিসেবে কাজ করা তাঁর ভাগনে শেখ সবুজ হোসেন (৩২) নিখোঁজ রয়েছেন। তাঁদের দুজনের বাড়ি ফরিদপুরে।
২৫ দিন আগে মামা কিবরিয়ার সঙ্গে জাহাজের কাজে যোগ দিয়েছিলেন সবুজ। ফরিদপুর জেলা সদরের গেরদা ইউনিয়নের জোয়াইর এলাকার মৃত আতাউর রহমানের ছেলে। শেখ সবুজ হোসেন নিখোঁজের ঘটনায় উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠায় সময় পার করছেন পরিবার।
আজ সোমবার রাত ১০টার দিকে সবুজদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, পরিবারের সদস্যরা আহাজারি করছেন। তাঁর বৃদ্ধ মা রাজিয়া বেগম ছেলের জন্য বিলাপ করছেন। ছেলেকে জীবিত ফেরত চেয়ে আর্তনাদ করছেন।
সবুজের মেজো ভাই মিজানুর রহমান বিপ্লব বলেন, ‘আমার ছোট ভাই সবুজ ২৫ দিন আগে মামার সঙ্গে কাজে যায়। আজ বেলা ৩টার দিকে জানতে পারি মামা কিবরিয়াসহ সবাইকে মেরে ফেলেছে। এখন পর্যন্ত মামা নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হলেও আমার ভাইকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে নিহত ৬ জনের পরিচয় জেনেছি। বাকি একজন আমার ভাই হতে পারে। তবে, এখনো তার সন্ধান পাইনি।’
উল্লেখ্য, আজ সোমবার দুপুরে চাঁদপুরের হাইমচরের মেঘনা নদীতে আল বাখেরাহ জাহাজ থেকে পাঁচজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ সময় গুরুতর আহত তিনজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুজনের মৃত্যু হয়। আহত একজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
নিহতরা ৬ জন হলেন—জাহাজের মাষ্টার কিবরিয়া, চালক সালাউদ্দিন, সুকানি আমিনুল মুন্সি, গ্রিজার সজিবুল, আজিজুল ও মাজেদুল ইসলাম। আরেকজনের নাম জানা যায়নি। আর আহত জুয়েলকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মেসার্স বৃষ্টি এন্টারপ্রাইজের অপর জাহাজ মুগনি-৩ এর মাষ্টার বাচ্চু মিয়া ও গ্রিজার মো. মাসুদ। তাঁরা সারবহনকারী আল বাখেরাহ জাহাজে লাশ দেখতে পেয়ে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল করেছিলেন।