ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী কবিরকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানাধীন পাগলা এলাকা থেকে কবির ওরফে দাতভাঙ্গা কবিরকে গ্রেপ্তার করা হয়। রাত ১২টায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানায় র্যাব-১১।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১১-এর লেফটেন্যান্ট কমান্ডার নাঈম উল হক।
তিনি সাংবাদিকদের জানান, গত সোমবার রাতে নারায়গঞ্জ থেকে কবিরকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ মঙ্গলবার তাঁকে পল্টন থানা-পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হবে।
জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন গত শুক্রবার রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট সড়কে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে দুর্বৃত্তরা রিকশায় থাকা ওসমান হাদিকে গুলি করে।
ওসমান হাদি ঢাকা-৮ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার জন্য প্রচার চালাচ্ছিলেন। মাথায় গুলিবিদ্ধ হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁকে গতকাল সোমবার উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়েছে।
তদন্তসংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ধারণা করছেন, ফয়সাল করিম মোটরসাইকেলের পেছনে বসে ওসমান হাদিকে গুলি করেছিলেন। ফয়সাল করিম এখনো পলাতক।
ফয়সাল করিমের স্ত্রী পারভীন সামিয়া, শ্যালক ওয়াহিদ আহমেদ শিপু, বান্ধবী মারিয়া আক্তার লিমাসহ মোট ছয়জনকে আটক করা হয়েছে।
র্যাবের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, কবিরের গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালী জেলার সদর থানার বড় বিঘাই গ্রাম। ফয়সাল করিমের বাড়িও পটুয়াখালীতে।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক উইং কমান্ডার এম জেড এম ইন্তেখাব চৌধুরী জানান, সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, কবির ৫ ডিসেম্বর ফয়সাল করিমের সঙ্গে বাংলামোটরে ওসমান হাদির প্রতিষ্ঠিত ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারে গিয়েছিলেন। ফুটেজ দেখানোর পর কবির সেটি স্বীকার করেছেন।
কবির রাজধানীর আদাবর থানা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের একটি ওয়ার্ড শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক। হামলার পরে তিনি নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলী এলাকার একটি ইটভাটার ছনের ঘরে লুকিয়ে ছিলেন।
র্যাব-১১-এর কোম্পানি কমান্ডার মো. নাঈম উল হক বলেন, কবিরের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজিসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে।