বড়দিনসহ টানা তিন দিনের ছুটিতে সুন্দরবনের কটকা পর্যটকদের পদচারণে মুখর। গতকাল শুক্রবার দুই হাজারের বেশি পর্যটক কটকায় গেছে। এটি কটকায় এক দিনে এই মৌসুমের সর্বোচ্চসংখ্যক পর্যটকের আগমন।
পর্যটনসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ছুটির শুরু থেকে সুন্দরবনমুখী লঞ্চ ও ট্যুরিস্ট জাহাজগুলোতে যাত্রীর চাপ বেড়েছে। বন বিভাগের অনুমতি নিয়ে প্রতিদিন পর্যটক দলগুলো বনে প্রবেশ করছে। হিরণ পয়েন্ট, কটকা, কচিখালী ও দুবলারচর পর্যটকদের বিশেষ আকর্ষণ হয়ে উঠেছে। পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বন বিভাগ ও কোস্ট গার্ড সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। একই সঙ্গে বন্য প্রাণী ও পরিবেশ রক্ষায় পর্যটকদের নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের অন্যতম পর্যটন স্পট কটকা অভয়ারণ্য কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরেস্টার মো. মতিউর রহমান বলেন, শুক্রবার ৩৮টি জাহাজে করে দুই হাজারের বেশি পর্যটক কটকা পর্যটনকেন্দ্রে এসেছে। এটি এক দিনে এই মৌসুমের সর্বোচ্চসংখ্যক পর্যটকের আগমন। পর্যটকেরা কটকায় চিত্রল হরিণের ছোটাছুটি এবং নদী ও খালের চরে কুমিরের রোদ পোহানোর দৃশ্য দেখে পুলকিত হচ্ছে। তারা কটকার জামতলা সি-বিচে ঘোরাঘুরি করেছে এবং অনেকে সাগরে নেমেছেন।
সুন্দরবনের করমজল বন্য প্রাণী প্রজনন ও ট্যুরিজম কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরেস্টার মো. আজাদ কবীর বলেন, বড়দিনসহ টানা তিন দিনের ছুটিতে সুন্দরবনে পর্যটকের ঢল নেমেছে। শুক্রবার বিপুলসংখ্যক দেশি-বিদেশি পর্যটক করমজলে বেড়াতে এসেছে।
ট্যুর অপারেটর অব সুন্দরবনের (টোয়াস) সেক্রেটারি নাজমুল আযম ডেভিট বলেন, সুন্দরবনে বর্তমানে পর্যটকের প্রবাহ বাড়লেও এই সংখ্যা গত বছরের তুলনায় কম।
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগ বাগেরহাটের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. রেজাউল করীম চৌধুরী বলেন, বর্তমানে সুন্দরবনে পর্যটকের যাতায়াত বেড়েছে। সুন্দরবন ভ্রমণের জন্য বিভাগীয় দপ্তর থেকে গত ২৫ ডিসেম্বর ১৮টি ট্যুর পারমিশন ইস্যু করা হয়েছে। ১৮টি পারমিশনে ৬১১ জন দেশি ও ১৩ জন বিদেশি পর্যটক সুন্দরবনে যাওয়ার জন্য বন বিভাগের নির্ধারিত রাজস্ব জমা দিয়েছেন। সুন্দরবনে ভ্রমণের সময় পর্যটকদের গাইড সাপোর্টসহ সার্বিক নিরাপত্তায় বনরক্ষীরা নিরলস কাজ করেন বলে ডিএফও জানিয়েছেন।