ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সুইমিংপুলে গোসলে নেমে আজ সোমবার দুপুরে প্রাণ হারিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির দর্শন বিভাগ ও হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মো. সোহাদ হক (১৯)। সাঁতার জানলেও সোহাদের শ্বাসকষ্ট ছিল বলে আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন তাঁর সহপাঠীরা।
অচেতন অবস্থায় সহপাঠীরা সোহাদকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া একাধিক সহপাঠীর সঙ্গে কথা হয় আজকের পত্রিকার। তাঁরা বলেন, গরমের কারণে হল থেকে বন্ধুরা মিলে গোসলে গিয়েছিলেন। সোহাদ সাঁতার জানতেন। তবে তাঁর শ্বাসকষ্ট ছিল, ইনহেলারও ব্যবহার করতেন। সুইমিংপুলে বন্ধুরা মিলেমিশে অনেকক্ষণ সাঁতার কাটেন। পরে আরেকবার লাফ দেওয়ার পর দেখা যায়, তিনি ডুবে যাচ্ছেন। তাঁকে ওপরে উঠিয়ে আনা হয় এবং ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হয়। পরে মেডিকেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
চিকিৎসকের বরাত দিয়ে ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী ইনচার্জ মো. মাসুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঘটনাটি শাহবাগ থানা-পুলিশ তদন্ত করছে। তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।
সুইমিংপুলে ঘটনার সময়ে উপস্থিত থাকা মোল্লা তৈমুর রহমান বলেন, ‘সুইমিংপুলে গোসল করার সময় দেখি, সোহাদের পেট চাপাচাপি করে পানি বের করার চেষ্টা করছিল। সুইমিংপুলের স্টাফ বারবার মাইকে ঘোষণা দিয়েও দায়িত্বরত চিকিৎসককে পাননি। পরে তাঁকে ঢামেকে নেওয়া হয়। ঢামেকে নিয়ে গেলে তাঁকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’
সোহাদের বাড়ি বগুড়া জেলায়। তাঁর লাশ নেওয়ার জন্য সোহাদের ভাই ও আত্মীয়স্বজন ঢাকায় এসেছেন। আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে লাশ এলাকায় নিয়ে যাওয়া হবে।
এদিকে রাতে হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের মাঠে সোহাদের জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।
সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মাকসুদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সোহাদের মৃত্যুর খবর পেয়ে আমরা পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। পরিবার থেকে তাঁর ভাই ও আত্মীয়স্বজন এসেছে। পোস্টমর্টেম না করার জন্য বাবা-মায়ের পক্ষ থেকে অনুরোধ রয়েছে। আমরা সে বিষয়ে শাহবাগ থানা-পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছি, পোস্টমর্টেম হয়নি। মুহসীন হলের মাঠ জানাজা শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে।’