নওগাঁর মান্দায় কাবিখা প্রকল্পে লুটপাট-সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশের পর সাংবাদিকদের ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকি দিয়েছেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) আরিফুল ইসলাম। গতকাল বুধবার প্রকল্পের তথ্য দেওয়ার নামে ডেকে নিয়ে সাংবাদিকদের হুমকি দেন তিনি।
পিআইও আরিফুল ইসলাম দম্ভোক্তি দেখিয়ে বলেন, ‘আমাকে না জানিয়ে আপনারা কেন সংবাদ প্রকাশ করেছেন। আপনাদের দেখে নেওয়া হবে। আমি মনে করলে আপনারা কেউ এখান থেকে যেতে পারবেন না। আমি এই স্টেশন থেকে চলে গেলে আপনারা কেউ ভালো থাকবেন না।’
এ সময় ছয়জন সাংবাদিকের উপস্থিতিতে পিআইও আরিফুল ইসলাম উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মনসুর রহমানকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে প্রকল্পের কাজ কারচুপির বিষয়ে গালিগালাজ করেন। পরে ইউপি সদস্য মনসুর রহমানের কাছ থেকে সাংবাদিকদের সামনে ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে পকেটস্থ করেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আখতার জাহান সাথী বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজখবর নিয়ে পরে জানানো হবে।’
এ প্রসঙ্গে মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আখতার জাহান সাথী বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজখবর নিয়ে পরে জানানো হবে।’
নওগাঁ জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আশেকুর রহমান বলেন, ‘প্রকল্পের কাজে অসংগতি থাকলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একজন কর্মকর্তা হয়ে তিনি কখনোই সাংবাদিকদের সঙ্গে খারাপ আচরণ বা হুমকি দিতে পারেন না। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
প্রসঙ্গত, নওগাঁর মান্দা উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নে কাবিখার চার প্রকল্পের মাধ্যমে সাড়ে ৩০ টন চাল লুটপাট করা হয়, যার বাজারমূল্য ১৪ লাখ ৯৪ হাজার ৫০০ টাকা। এ নিয়ে গতকাল আজকের পত্রিকায় ‘দায়সারা কাজে কাবিখার চার প্রকল্পে হরিলুট’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এসব প্রকল্পের বিষয়ে তথ্য দেওয়ার নামে সাংবাদিকদের ডেকে নিয়ে হুমকি দেন আরিফুল ইসলাম। এ ঘটনার পর স্থানীয় সচেতন মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।