হোম > সারা দেশ > বাগেরহাট

ব্রি-১০৮ ধানে চমক: ২১ কেজি বীজে ২২১ মণ ফলন

আবুল আহসান টিটু, ফকিরহাট (বাগেরহাট) 

বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার বাহিরদিয়া ব্লকে চাষ করা ব্রি-১০৮ ধানের খেত। ছবি: আজকের পত্রিকা

চলতি বোরো মৌসুমে বাগেরহাটের ফকিরহাটে প্রথমবারের মতো চাষ হয়েছে ব্রি-১০৮ ধান। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত এই সর্বাধুনিক জাতের চাষ করে অভূতপূর্ব সাফল্য পেয়েছেন চাষি মোস্তফা হাসান। চার বিঘা জমিতে মাত্র ২১ কেজি বীজের চারা রোপণ করে ফলন পেয়েছেন ২২১ মণ।

উপজেলার বাহিরদিয়া ব্লকে মোস্তফার খেতে গতকাল শনিবার গিয়ে দেখা যায়, আশপাশের অনেক কৃষক আগ্রহ নিয়ে ধান দেখতে এসেছেন। এ সময় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তাসহ কৃষি বিভাগের লোকজন কৃষকদের নানা পরামর্শ দেন।

মোস্তফা জানান, ইউটিউবের মাধ্যমে খোঁজ পেয়ে তিনি শেরপুর থেকে ৩০০ টাকা কেজি দরে ২১ কেজি বীজধান সংগ্রহ করেন। চার বিঘার বেশি জমিতে চাষাবাদে তাঁর শ্রমিক, হাল দেওয়া, সার, ওষুধ ও সেচ মিলিয়ে তাঁর প্রায় ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়। জানুয়ারিতে রোপণ করা ধান ইতিমধ্যে পেকে গেছে। এক শতক জমির নমুনা কেটে ৪৫ কেজি ধান পেয়েছেন। দু-এক দিনের মধ্যে বাকি ধান কাটবেন। বর্তমানে মাঠ পর্যায়ে প্রতি মণ ধানের দাম ১ হাজার ৬০০ টাকা। ফলে সব ধান থেকে তাঁর সাড়ে ৩ লাখ টাকার বেশি আসবে বলে তিনি আশা করছেন।

মোস্তফা বলেন, ধানটি অধিক রোগ প্রতিরোধক্ষমতা ও খরাসহিষ্ণু। সারও কম লেগেছে। চার বিঘা পাঁচ শতক জমিতে ধান চাষের সব খরচ বাদ দিয়ে তাঁর ৩ লাখ টাকার অধিক লাভ হবে। এই অঞ্চলে প্রথম চাষেই সাফল্য পাওয়ায় অনেক চাষি এটি চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। তাঁদের সহযোগিতা করতে চান তিনি।

ইতিমধ্যে ফকিরহাট উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বীজের জন্য মোস্তফার কাছে ২০ মণ ধানের চাহিদার কথা জানিয়েছে বলে জানান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শেখ সাখাওয়াত হোসেন।

উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা নয়ন সেন বলেন, ‘সোনালি রঙের ব্রি-১০৮ জাতের ধানটি এই উপজেলায় প্রথম চাষ হয়েছে। সম্ভবত জেলায়ও প্রথম হবে। এই ধানের চাল মাঝারি লম্বা ও চিকন। ভাত ঝরঝরে ও সুস্বাদু হওয়ায় উচ্চমূল্যের জিরা ধানের বিকল্প হিসেবে এটি উদ্ভাবন করা হয়েছে। একদিকে উৎপাদন খরচ কম, অন্যদিকে অধিক দামের কারণে ইতিমধ্যে ধানটির প্রতি ব্যাপক চাহিদা সৃষ্টি হয়েছে।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাখাওয়াত বলেন, ‘ব্রি-১০৮ বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট আবিষ্কৃত সর্বাধুনিক জাতের ধান। এটি অন্যান্য জাতের তুলনায় বেশি উৎপাদন হয়। প্রতি গোছায় কুশির সংখ্যা ১৬-১৭। দানার পুষ্টতা শতকরা ৮৮.৬ ভাগ। চালে প্রোটিনের পরিমাণ ৮.৮ শতাংশ, যা অন্যান্য চালের তুলনায় বেশি স্বাস্থ্যসম্মত। উপজেলার অন্য কৃষকদের মধ্যে ধানটি ছড়িয়ে দিতে এই খেত থেকে সরকারিভাবে বীজ সংগ্রহের পরিকল্পনা রয়েছে।’

বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থীর মনোনয়ন নিতে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি, খুঁজে পায় না পুলিশ

কাপ্তাই হ্রদে কায়াক উল্টে পর্যটকের মৃত্যু

মাদ্রাসার পরিচালককে হত্যার হুমকির চিরকুট, থানায় জিডি

ঝালকাঠিতে হাদির গায়েবানা জানাজা

মিরসরাইয়ে গাড়ির ধাক্কায় ভ্যানচালক নিহত

উত্তরায় ট্রাকচাপায় শিশুর মৃত্যু, মা-ভাইসহ আহত ৩

হামলা-ভাঙচুরকারীরা হাদির আদর্শের অনুসারী হতে পারে না: কনকচাঁপা

চকরিয়ায় গাছের সঙ্গে ধাক্কা খেল অটোরিকশা, শিশু নিহত

প্রতিবেশী দুই ভাইয়ের ঝগড়া থামাতে গিয়ে প্রাণ গেল যুবকের

কক্সবাজারে দুই যুবদল কর্মী গুলিবিদ্ধ: পর্যটক সেজে লামায় লুকিয়ে ছিলেন ৫ আসামি