ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবরে রংপুরের গঙ্গাচড়ায় শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে গঙ্গাচড়া বাজারের জিরো পয়েন্ট থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে আবার জিরো পয়েন্টে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।
সমাবেশে অংশ নেওয়া বিক্ষোভকারীরা হাদির হত্যাকারীদের দ্রুত বিচারের দাবি জানান। পাশাপাশি আওয়ামী লীগের বিচার কার্যক্রম ত্বরান্বিত করা এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন তাঁরা। সমাবেশ শেষে হাদির আত্মার মাগফিরাত কামনা করে সংক্ষিপ্ত দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন উপজেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি সাহেব আলী।
বিক্ষোভ মিছিলে উপজেলা নাগরিক পার্টির প্রধান সমন্বয়কারী রিফাতুজ্জামান, উপজেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি সাহেব আলী, গঙ্গাচড়া পশ্চিম থানা ছাত্রশিবিরের সভাপতি শোয়াইবুর রহমান, উপজেলা সেক্রেটারি নাজমুল ইসলাম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উপজেলা সংগঠক মোহাইমিনুল ইসলাম আহাদ, আলী আল রাদিত রেশান, সোহান, উপজেলা নাগরিক পার্টির যুগ্ম সমন্বয়কারী জাহানুরুর রহমান, জীবন মিয়া, তৈয়ব আলীসহ স্থানীয় শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, শরিফ ওসমান হাদি জুলাই অভ্যুত্থান ও আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে পরিচিতি লাভ করেন। তিনি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন।
গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় গণসংযোগের সময় হামলার শিকার হন হাদি। চলন্ত রিকশায় থাকা অবস্থায় একটি মোটরসাইকেল থেকে তাঁকে গুলি করা হয়। গুলিটি তাঁর মাথায় লাগে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং অস্ত্রোপচারের পর ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকেরা তখন তাঁর অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক বলে জানান।
পরে সোমবার দুপুরে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাঁকে সিঙ্গাপুর নেওয়া হয়। সেখানকার সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।