চট্টগ্রাম বন্দরে আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে বেসরকারি কনটেইনার ডিপোগুলোর কার্যক্রম বন্ধ রাখার পূর্বঘোষিত সিদ্ধান্ত থেকে সরে গিয়ে এক মাস পিছিয়েছেন ডিপোমালিকেরা। আজ বুধবার বিকেলে চট্টগ্রাম বন্দর কার্যালয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম কাস্টমস ও বেসরকারি ডিপোমালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপোস অ্যাসোসিয়েশনের (বিকডা) মধ্যকার বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিকডার পক্ষ থেকে জানানো হয়, বিকডার সঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ও চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস কর্মকর্তাদের আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে তাঁদের আগামীকালের কর্মসূচি এক মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। এ দিন আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার ব্যাপারে সবাই সম্মত হয়েছেন।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব ওমর ফারুক এ সিদ্ধান্তের বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে চট্টগ্রাম বন্দরে অফডকের মাশুল বাড়ানো নিয়ে আগামীকাল সকাল ৬টা থেকে বেসরকারি কনটেইনার ডিপোগুলোর কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বেসরকারি ডিপোমালিকেরা।
ডিপোমালিকেরা জানান, বিদ্যমান মাশুল বা চার্জ দিয়ে কার্যক্রম চালানো তাঁদের পক্ষে আর সম্ভব হচ্ছে না। অথচ তাঁদের মাশুল বাড়ানোর অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। ১১ ডিসেম্বর থেকে তাঁরা আর রপ্তানিপণ্য লোড করতে বা খালি কনটেইনার হ্যান্ডলিং করতে পারবেন না।
বিকডার তথ্যমতে, চট্টগ্রাম বন্দরে সর্বশেষ ২০১৬ সালে ট্যারিফ বা মাশুল বাড়ানো হয়েছিল। গত নয় বছরে শ্রমিকদের মজুরি কয়েকবার বাড়লেও বেসরকারি ডিপোর ট্যারিফ অপরিবর্তিত রয়েছে। পুরোনো হারে কার্যক্রম চালানো অসম্ভব হয়ে পড়ায় ডিপোমালিকেরা অপারেশন বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
বন্দর সূত্রে জানা যায়, ওই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে চট্টগ্রাম বন্দরের সব ধরনের পণ্য জাহাজীকরণ ও এমটি কনটেইনার হ্যান্ডলিং পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। এতে মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়বে তৈরি পোশাকশিল্পসহ রপ্তানিমুখী শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো।
বন্দর ব্যবহারকারীরা বলছেন, শতভাগ রপ্তানিপণ্য, খালি কনটেইনারের বড় অংশ ও ৬৫ ধরনের আমদানিপণ্য হ্যান্ডলিং করে ১৯টি বেসরকারি কনটেইনার ডিপো বা অফডক কর্তৃপক্ষ।