হোম > সারা দেশ

বাড়তি দামে ছোট ঈদের ফর্দ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

একটা একটা করে রোজা চলে যাচ্ছে। ঈদও এক দিন এক দিন করে এগিয়ে আছে। প্রত্যেকে তাই সামর্থ্য অনুযায়ী ঈদের কেনাকাটা শুরু করেছেন। যাঁরা এখনো শুরু করেননি তাঁরাও পরিকল্পনা করছেন। কিন্তু সব প্রস্তুতি-পরিকল্পনা থমকে যাচ্ছে, হোঁচট খাচ্ছে শুরুতেই।এমনিতেই নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার কারণে সংসার চালানো অনেকের কাছে কষ্টকর হয়ে পড়েছে। এর ওপর ঈদের বাজারেও বাড়তি দাম।

রাজধানীর চাঁদনী চক মার্কেটের বলাকা ভবনের নিচতলার এম আলী ক্লথ হাউসের বিক্রেতা আলী মাহমুদ। ঈদের বেচাকেনা কেমন হচ্ছে জানতে চাইলে গতকাল শুক্রবার তিনি বলেন, ‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে মানুষের এখন বাজেট কম। সবকিছুর দামই এবার বেড়েছে। আগে যারা দুইটা কেনার চিন্তা করত, তারা এবার একটা কিনেই সন্তুষ্ট থাকতেছে।’

একই রকম কথা বললেন নিউমার্কেটে কেনাকাটা করতে আসা গৃহিণী নাসিমা আক্তার। তিনি বলেন, ‘প্রতি ঈদেই আত্মীয়স্বজনদের জন্য কমবেশি কেনাকাটা করতে হয়। কিন্তু এবার সবকিছুর দাম এতই বেশি যে, কেনাকাটা শুরুর আগেই তালিকাটা ছোট করে ফেলেছি।’

গতকাল ছিল রমজানের দ্বিতীয় শুক্রবার। করোনার বাধা পেরিয়ে প্রায় তিন বছর পর চিরচেনা চেহারায় ফিরেছে ঈদের বাজার। এ সময়টায় ক্রেতা-বিক্রেতা সবার মুখেই থাকার কথা তৃপ্তির হাসি, অথচ তাঁদের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে পণ্যের দাম।

গাউছিয়া মার্কেটের ন্যাশনাল ফ্যাশন হাউসের বিক্রেতা রিয়াজ উদ্দিন বাবু বলেন, ‘প্রতিটি পণ্যের দাম বাড়ছে। কাঁচামরিচ থেকে শুরু করে সব পণ্যের দাম বেশি। সারা দিন বসে আছি। মানুষ আসতেছে। কিন্তু বেচাকেনা খুব কম। তারপরও আমরা আশা করতেছি, মানুষের বেতন হইলে ক্রেতা আরও বাড়বে।’

গতকাল বিকেলে রাজধানীর নিউমার্কেট, চাঁদনী চক ও গাউছিয়া মার্কেট এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ছুটির দিনে ঈদের কেনাকাটা করতে পুরো এলাকায় ঠাসাঠাসি ভিড়। কেউ আগেভাগেই ঈদের কেনাকাটা শেষ করতে চাইছেন। কেউ আবার বিভিন্ন দোকান ঘুরে ঘুরে পোশাক-আশাক দেখছেন, দাম বোঝার চেষ্টা করছেন।

স্ত্রীকে নিয়ে ঈদের কেনাকাটা করতে নিউমার্কেটে এসেছিলেন তানভীর আশিক। তিনি বলেন, ‘যে ড্রেসগুলো গতবারও ১৮ শ, দুই হাজার করে কিনেছি, সেগুলো এবার ২৬ শ থেকে ৩৫ শ টাকা।’

তবে বিক্রেতারা বলছেন, পণ্যের দাম আর সব খরচ ধরার পর খুব সামান্য লাভ তাঁরা রাখছেন। কারণ দাম অতিরিক্ত বাড়িয়ে দিলে তাঁরা ক্রেতা পাবেন না, এটাও মাথায় রাখতে হচ্ছে।

বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এবার স্বাভাবিকভাবে সবকিছুর দাম বেশি থাকবে। এর জন্য এবার বেচাকেনা কম হতে পারে বলে আশঙ্কা করছি আমরা। তবুও আমাদের আশা, এবার ঈদকে ঘিরে ২০-২৫ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা হবে।’

হেলাল উদ্দিন জানান, এলসি জটিলতা এবং ডলারের দাম বৃদ্ধির কারণে এবার দেশের বাইরে থেকে খুব কম পণ্য এসেছে। ঈদকে ঘিরে বাজারে আসা ৮০ শতাংশ পণ্যই দেশে তৈরি। তবে কাঁচামালসহ সবকিছুর খরচ বেড়ে যাওয়ায় দামটা বেশি পড়ছে এবার।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ও যানজট সামাল দিতে চন্দ্রিমা সুপার মার্কেটের উল্টোদিকে বসানো হয়েছে পুলিশ কন্ট্রোলরুম। কন্ট্রোলরুমে থাকা পুলিশ উপপরিদর্শক রায়হান উদ্দিন বলেন, ‘এবার মার্কেটকেন্দ্রিক ভিড়টা অনেক বেশি। ক্রাইম পুলিশিংয়ের পাশাপাশি ট্রাফিকিংয়ের কাজটাও আমরা দেখছি। সকাল থেকে শুরু করে যত রাত পর্যন্ত এখানে জনসমাগম থাকে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা এখানে থাকি।’ 

হাদিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ফয়সালের ঘনিষ্ঠ সহযোগী গ্রেপ্তার

সুবর্ণচরে নদীভাঙন: ২ বছরে ভিটেমাটি হারা চার হাজার পরিবার

হাদি সিঙ্গাপুরে, হামলার নেপথ্যের ব্যক্তিরা অজানা

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি: পাহাড়-টিলা সাবাড়, ভরাট হচ্ছে পুকুর

শরীয়তপুরের ৩ আসন: আওয়ামী লীগের ঘাঁটি দখলে মরিয়া বিএনপি-জামায়াত

কক্সবাজারের চকরিয়া: মাতামুহুরীতে বেড়া দিয়ে মাছ চাষ বিএনপি নেতার

সেলিম ওসমানকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ

রাজধানীর দক্ষিণখানে যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

নেত্রকোনায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

নরসিংদীতে অবৈধ ব্যাটারি কারখানার বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন