গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে মোছা. জনতা বেগম (৩৫) নামে এক গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় স্বামী মো. আবদুল লতিফ মিয়াকে প্রধান আসামি করে ১১ জনের নামে একটি হত্যা মামলা করেছেন নিহত গৃহবধূর বড় ভাই মো. শহীদ মিয়া।
নিহত জনতা বেগম ছাপড়হাটি ইউনিয়নের উত্তর মরুয়াদহ গ্রামের মৃত জয়নাল আবেদীনের মেয়ে। স্বামী মো. আবদুল লতিফ মিয়া শ্রীপুর ইউনিয়নের মো. মতলব মিয়ার ছেলে। তাঁদের ১১ বছরের সংসারে এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। গতকাল শনিবার দুপুর ১টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবদুল হাকিম আজাদ।
ওসি বলেন, ‘গত মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে শ্রীপুর ইউনিয়নের উত্তর শ্রীপুর মৎস্য খামার গ্রামে এ মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আসামিদের ধরতে পুলিশ তৎপর আছে।’
মামলা সূত্রে জানা যায়, বিয়ের পর থেকেই যৌতুকসহ নানা বিষয়ে জনতা বেগমকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছিলেন স্বামী ও তার পরিবারের বাকি সদস্যরা। এ নিয়ে সালিশি বৈঠকও হয়েছে কয়েকবার। কিন্তু বন্ধ হয়নি নির্যাতন। হত্যাকাণ্ডের দিন জনতা বেগমকে ফাঁসাতে তাবিজ বের করার নাম করে সাজানো হয় একটি নাটক। এতে জনতা বেগম প্রতিবাদ করলে স্বামী তাকে কিল-ঘুষি শুরু করেন। ভয়ে গৃহবধূ ঘরের মাচার নিচে লুকান। সেখান থেকে তাকে টেনেহিঁচড়ে বের করেন এবং হাত-পা বেঁধে স্বামী লতিফ মিয়া ধারালো দা দিয়ে তার গলায় কোপ দেন। এতে গুরুতর জখম হন জনতা বেগম। রক্তাক্ত অবস্থায় ঘণ্টা খানেক ফেলে রাখার পর আসামিরা তাঁকে একটি ভ্যানে করে সীচা বাজারের এক পল্লি চিকিৎসকের কাছে নেন। চিকিৎসক জনতা বেগমকে মৃত ঘোষণা করলে তার মরদেহ কছিম বাজার এলাকায় কাঠের ব্রিজের উত্তরে ফেলে রেখে সবাই পালিয়ে যান।