সচিবালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের ঢুকতে না দেওয়ায় মোবাইল ফোন দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বিক্ষোভ সমাবেশ সরাসরি প্রচার করছেন আন্দোলনরত কর্মচারীরা।
কর্মচারীদের লাগাতার আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে দর্শনার্থীদের প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। সকাল থেকে গণমাধ্যমকর্মীদেরও সচিবালয়ে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। যেসব গণমাধ্যমকর্মী সচিবালয়ের খবর নিয়মিত সংগ্রহ করেন, তাঁরা সচিবালয়ের প্রধান ফটকের বাইরে অবস্থান নিয়েছেন।
সরকারি চাকরি আইন সংশোধন করে জারি করা অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে আজ বেলা ১১টার দিকে সচিবালয়ের ৬ নম্বর ভবনের পাশে বাদামতলায় জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন কর্মচারীরা।
এদিন সমাবেশ কাভার করতে টেলিভিশনের কোনো ক্যামেরা না দেখে সমাবেশ থেকে একজন কর্মচারী নেতা বলেন, আজ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। আপনারা সবাই ফেসবুকে আমাদের কর্মসূচি লাইভ করুন। এই কর্মসূচি সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে হবে।
এরপর সমাবেশে অংশ নেওয়া কর্মচারীরা নিজেদের মোবাইল ফোন বের করে বিক্ষোভ সমাবেশ ফেসবুকে সরাসরি সম্প্রচার করতে শুরু করেন।
নিজেদের কর্মসূচি ফেসবুকে লাইভ করার সময় অনেককে ধারা বর্ণনা দিতে দেখা যায়।
একজন কর্মচারী তাঁর ফেসবুক লাইভে বলছিলেন, ‘আজ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি, তাই আমরা নিজেরাই আপনাদের কাছে আমাদের আন্দোলন কর্মসূচির খবর পৌঁছে দিচ্ছি। যত পারেন লাইভ শেয়ার করুন। আমরা এই কালো আইন মানি না। এই আইন বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আমাদের বিক্ষোভ সমাবেশ চলবে।’
আরেকজন কর্মচারীকে লাইভে বলতে শোনা যায়, ‘সাংবাদিকদের সচিবালয়ে ঢুকতে দেয়নি সরকার। তাই আমরাই আজকে সাংবাদিকদের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছি।’
সচিবালয়ে কর্মচারীদের বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে প্রধান ফটকে সোয়াত সদস্যদের নিয়োজিত করা হয়েছে। সচিবালয়ের ভেতরে রাখা হয়েছে বিজিবি সদস্যদের। এ ছাড়া নিয়মিত নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আর্মডফোর্স ব্যাটালিয়ন, পুলিশ, আনসার সদস্যদের বাড়তি উপস্থিতি দেখা গেছে। সচিবালয়ের বাইরে রাখা হয়েছে দুটি এপিসি।
সরকারি কর্মচারীদের আন্দোলনের মধ্যেই গত রোববার রাতে সরকারি কর্মচারী আইন সংশোধন করে নতুন অধ্যাদেশ জারি করেছে সরকার। এর ফলে চার ধরনের অপরাধের জন্য সরকারি কর্মচারীদের শুধু নোটিশ দিয়েই চাকরিচ্যুত করা যাবে। কর্মচারীরা এর প্রতিবাদে গত শনিবার থেকে সচিবালয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করেছেন।