চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে হত্যার ঘটনার মামলায় সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীসহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ।
আজ মঙ্গলবার (১ জুলাই) বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগর আদালতের প্রসিকিউশন বিভাগে এই চার্জশিট দাখিল করা হয়। মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের কোতোয়ালি জোনের সহকারী কমিশনার মো. মাহফুজুর রহমান এই চার্জশিট দাখিল করেছেন।
চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের সহকারী সরকারি কৌঁসুলি মো. রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, চার্জশিটে মামলার এজাহারনামীয় ও তদন্তে প্রাপ্ত আসামি হিসেবে ৩৮ জনকে অভিযুক্ত করে বিচারের জন্য সোপর্দ করা হয়েছে। অভিযুক্ত আসামিদের মধ্যে সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসও রয়েছেন। তিনি এই হত্যা মামলাটির তদন্তে প্রাপ্ত আসামি।
এ ছাড়া চার আসামিকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা। এই মামলায় চার্জশিট ও তদন্তে প্রাপ্ত মোট আসামি ৪২ জন।
পুলিশ বলেছে, এই মামলায় এখন পর্যন্ত চিন্ময়সহ ২০ জন গ্রেপ্তার রয়েছেন। পলাতক রয়েছেন ১৮ জন।
গত বছর ৩০ নভেম্বর কোতোয়ালি থানায় ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে ও ১০-১৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি দেখিয়ে একটি হত্যা মামলা করেন নিহত আইনজীবী আলিফের বাবা জামাল উদ্দিন।
এর আগে গত বছরের ২৫ নভেম্বর রাতে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চিন্ময়কে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা। পরে তাঁকে ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালি থানায় হওয়া রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে চট্টগ্রাম আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আদালত প্রাঙ্গণে ব্যাপক হাঙ্গামা সৃষ্টি করেন চিন্ময়ের অনুসারীরা। তাঁকে বহনকারী প্রিজন ভ্যান প্রায় তিন ঘণ্টা আদালত এলাকায় আটকে রাখেন তাঁরা। একপর্যায়ে পুলিশ, বিজিবি লাঠিপেটা ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এই অবস্থায় সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। পরে তা নগরীর লালদীঘির পাড় থেকে কোতোয়ালি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।
চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ঢাকায় গ্রেপ্তারের পর থেকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী রয়েছেন।