রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ি এলাকায় মেট্রোরেলের ডিপোসংলগ্ন মাইলস্টোন স্কুল প্রাঙ্গণে ঘটে যাওয়া বিমান দুর্ঘটনায় আহত শিক্ষার্থীদের দ্রুত এবং নিরাপদ পরিবহনের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেয় মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া হেলিকপ্টারে করে তাৎক্ষণিক হাসপাতালে নেওয়া হয় তাদের।
আহতদের দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছে দিতে প্রতিটি ট্রেনের একটি বগি সংরক্ষণ করা হয়। মেট্রোতে করে তাদের নেওয়া হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশনে। সেখানে থাকা অ্যাম্বুলেন্সে করে আহত শিক্ষার্থীদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
মেট্রো পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আহতদের দ্রুত স্থানান্তরের সুবিধার্থে মেট্রোরেলের সামনের দিক থেকে দ্বিতীয় কোচটি নির্দিষ্ট করে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া মেট্রোরেল ডিপোর ভেতর দিয়ে আহত ব্যক্তিদের বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স চলাচলের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে মেট্রোরেলের পরিবহন পুলের যানবাহনগুলো দিয়াবাড়ি গোলচত্বরের পাশে প্রস্তুত রাখা হয়েছে, যাতে তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের পরিবহনে ব্যবহার করা যায়।
এদিকে পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, আহত শিক্ষার্থীদের দ্রুত স্থানান্তরের সুবিধার্থে নারীদের জন্য বরাদ্দ করা বগির পাশের একটি বগি সম্পূর্ণ রিজার্ভ রাখা হয়েছে। এই পদক্ষেপের ফলে আহতদের দ্রুত ও নিরাপদে বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো সম্ভব হচ্ছে।
এ ছাড়া উত্তরায় বিমান দুর্ঘটনার পর আহতদের তাৎক্ষণিক চিকিৎসা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী দ্রুত পদক্ষেপ নেয়। দুর্ঘটনাস্থল থেকে আহতদের হেলিকপ্টারে করে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নেওয়া হয়, যাতে সময়মতো প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া যায়।
দুর্ঘটনার পরপরই ফায়ার সার্ভিস, উদ্ধারকারী দল ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টার সেখানে পৌঁছে যায়। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় সময় নষ্ট না করে আকাশপথে তাদের দ্রুত সিএমএইচে নিয়ে যাওয়া হয়। এতে দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা সম্ভব হয়েছে, যা জীবনরক্ষায় বড় ভূমিকা রাখে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।