রাজধানীর পল্লবীতে দোকানে ঢুকে যুবদল নেতা গোলাম কিবরিয়াকে যারা গুলি করেছে, তাদের তিনজনেরই মাথায় হেলমেট ছিল। যুবদল নেতার বুকে, পিঠে ও মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে সাতটি গুলি করে তারা পালিয়ে যায়। পরে লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আজ সোমবার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটের দিকে মিরপুর পল্লবী থানার পেছনে সি-ব্লক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পল্লবী থানা যুবদলের সদস্যসচিব গোলাম কিবরিয়া বিক্রমপুর হার্ডওয়্যার অ্যান্ড স্যানিটারি নামের এক দোকানে ছিলেন। সেখানেই ঢুকেই তাঁকে গুলি করা হয়।
ডিএমপির মিরপুর বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, সন্ধ্যায় পল্লবী থানা যুবদলের এক নেতাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। তবে কে বা কারা গুলি করেছে, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান আরও বলেন, ‘আমরা একজনকে আটক করেছি। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কারণ জানার চেষ্টা করছি।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া দোকানের সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, কিবরিয়া দোকানে ঢোকার দু–তিন সেকেন্ডের মধ্যে কয়েকজন দুর্বৃত্ত দোকানে ঢুকে তাঁকে গুলি করতে শুরু করে। দুর্বৃত্তদের একজনের পরনে পাঞ্জাবি, একজনের গায়ে শার্ট ও আরেকজনের গায়ে শার্টের ওপর শীতের চাদর জড়ানো ছিল। প্রত্যেকের মাথায় হেলমেট ও মুখে মুখোশ ছিল। এ সময় দোকানে ৯ জন ছিলেন। দুর্বৃত্তদের একজন কিবরিয়াকে গুলি করতে শুরু করলে ভয়ে দোকান থেকে আগের লোকজন বেরিয়ে যান। আর দুজন লুকিয়ে পড়েন। কিবরিয়াকে দুজন এলোপাতাড়ি গুলি করে। এ সময় কিবরিয়া মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তাঁকে আরও তিনটি গুলি করে দুর্বৃত্তরা দ্রুত বেরিয়ে যায়।