চট্টগ্রামের ১৬ আসনের মধ্যে ১৫টিতেই মনোনয়ন নিশ্চিত করেছে বিএনপি। শুধু একটি আসনে মনোনয়ন ঘোষণা করেনি দলটি। সেটি হচ্ছে, চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ-সাতকানিয়া আংশিক) সংসদীয় আসন। এ নিয়ে স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে কৌতূহল ও আলোচনা ক্রমেই বেড়ে চলেছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রার্থী চূড়ান্ত না হলেও ইতিমধ্যে এই আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে ১০ জন নেতা মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। তাঁরা হলেন ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাকালীন কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক ও হাইকোর্টের সাবেক বিচারপতি আবদুস সালাম মামুন, বিএনপি আইনজীবী ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি আইনজীবী মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি শফিকুল ইসলাম রাহী, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আনোয়ার চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আল হেলাল, বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির পরিবার কল্যাণবিষয়ক সম্পাদক ডা. মহসিন জিল্লুর করিম, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. ইখতেয়ার হোসেন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অধ্যাপক এহছানুল মৌলা, বিএনপি নেতা এম এ হাশেম রাজু, স্বেচ্ছাসেবক দল জার্মানির যুগ্ম আহ্বায়ক এম জাকের হোসেন চৌধুরী, বিএনপি নেতা সিরাজুল ইসলাম।
স্থানীয় নেতাদের মতে, চট্টগ্রাম-১৪ আসনটি রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হওয়ায় বিএনপি প্রার্থী বাছাইয়ে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করছে। তবে প্রার্থী ঘোষণায় বিলম্বের কারণে এখনো পূর্ণাঙ্গ নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করা সম্ভব হয়নি। দলীয় নেতারা জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত এলেই সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনী মাঠে নামবেন।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি ও চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি আইনজীবী মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘রোববারের মধ্যে দল প্রার্থী নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারে। আমি আশাবাদী যে দল আমাকে মনোনয়ন দেবে।’
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি শফিকুল ইসলাম রাহী বলেন, ‘দ্রুত সময়ের মধ্যে দলীয় সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হবে। আমি আশাবাদী যে দল আমাকে মনোনয়ন দেবে। বিগত ১৭ বছর আমি নেতা-কর্মীদের পাশে ছিলাম, তাদের সুখ-দুঃখের সঙ্গী হয়ে। এখন চাই, শেষ পর্যন্ত দল আমাকে সুযোগ দিক।’