আজ থেকে ৪১ বছর আগে প্রথম আমেরিকান নারী হিসেবে মহাকাশে হেঁটেছিলেন ড. ক্যাথরিন ডি. সুলিভান। ঐতিহাসিক সেই ঘটনা ঘটেছিল ১৯৮৪ সালের ১১ অক্টোবর। তিনি মোট তিনটি স্পেস মিশনে অংশ নিয়েছিলেন। তাঁর কর্মজীবনে তিনি বিজ্ঞান, মহাকাশ ও সমুদ্রবিদ্যা—তিন ক্ষেত্রেই অসাধারণ অবদান রেখেছিলেন।
ড. ক্যাথরিন ছিলেন প্রথম ছয়জন নারী নভোচারী ব্যাচের একজন। মহাকাশযান স্পেস শাটল চ্যালেঞ্জারে এসটিএস-৪১-জি মিশনে তিনি ও তাঁর সহযাত্রীরা মহাকাশযানের বাইরে প্রায় ৩ ঘণ্টা কাজ করেন। ভবিষ্যতের মহাকাশযান মেরামতের এক বিশাল প্রযুক্তিগত পরীক্ষার জন্য তাঁরা মহাকাশযানের বাইরে যান। একটি স্যাটেলাইটে পুনরায় জ্বালানি ভরার পরীক্ষা করছিলেন সে দলের সদস্যরা। এ ছাড়া ক্যাথরিন ১৯৯০ সালে এসটিএস-৩১ মিশনে হাবল স্পেস টেলিস্কোপ স্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
২০২০ সালে এর ঠিক বিপরীত কাজটি করেন ক্যাথরিন। তিনি পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে থাকা গভীরতম মহাসাগরীয় খাদ মারিয়ানা ট্রেঞ্চে ডুব দেন। প্রথম নারী হিসেবে সেই রেকর্ড গড়েন ক্যাথরিন। এ ঘটনার পর থেকে মহাকাশে বিচরণ ও সমুদ্রের গভীরতম খাদে ডুব দেওয়া একমাত্র মানুষ হয়ে ওঠেন তিনি।
ড. ক্যাথরিন নাসা ছাড়ার পর ন্যাশনাল ওশেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোসফিয়ারিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া ওহাইওর সেন্টার অব সায়েন্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট এবং সিইও হিসেবেও কাজ করেন।