এখন বেশির ভাগ মোবাইল ফোনে ব্যাটারি বদলানোর সুবিধা থাকে না। মোবাইল ফোনের এসব ব্যাটারিকে বলে নন-রিমুভেবল ব্যাটারি। ফলে ব্যাটারি একবার নষ্ট হলে শেষ হয়ে যায় স্মার্টফোনের আয়ু। তখন নতুন মোবাইল ফোন কিনতে হয়। অথচ একটু যত্নআত্তির মাধ্যমে ব্যাটারির আয়ু দীর্ঘায়িত করা যায়।
যা করবেন
» ফোন চার্জে দিয়ে কথা বলবেন না কিংবা কোনো অ্যাপ চালাবেন না। সেটিকে শুধুই চার্জ হতে দিন। ফোন পুরো চার্জ হলে পোর্ট থেকে খুলে তারপর কথা বলুন। এতে ব্যাটারির আয়ু ঠিক থাকবে।
» চার্জ দেওয়ার জন্য ফোনের সঙ্গে দেওয়া চার্জারটিই ব্যবহার করুন। অন্য কোনো ফোনের চার্জার বা কেনা অন্য চার্জার যতটা সম্ভব কম ব্যবহার করা ভালো।
» ফোন চার্জে দিয়ে বালিশের নিচে কিংবা কোনো কিছুর তলায় দীর্ঘক্ষণ রেখে দিলেও ব্যাটারির ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
» ফোনের ব্যাটারি ফুরিয়ে ১০ বা ৫ শতাংশ হলে তবেই চার্জ দিন। বারবার চার্জ দিলে ফোন অহেতুক গরম হয়।
» সারা রাত ধরে চার্জে রেখে দেওয়া যাবে না। ব্যাটারির জন্য এটি যেমন ক্ষতিকর, তেমনি বিপজ্জনকও বটে।
» অতিরিক্ত গেম খেলার কারণে অনেক সময় ব্যাটারি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে।
» ফোনে ব্যাটারি সেভার বলে একটি অপশন থাকে। চার্জ কমের দিকে থাকলে সেই অপশন অন করে দিতে পারেন।
» ফোনের পর্দার ব্রাইটনেস কমিয়ে রাখলে চোখ ও ব্যাটারির আয়ু—দুটোই ভালো থাকবে।
» আপনার মোবাইল ফোনের সেটিংসে যান। সেখানে অ্যাপস অ্যান্ড নোটিফিকেশন অপশনে টাচ করুন। এবার যে অ্যাপগুলো আপনি সব সময় ব্যবহার করেন না, সেগুলোতে টাচ করুন। তারপর ব্যাটারি অপশনে গিয়ে ব্যাকগ্রাউন্ড ইউজ এবং নোটিফিকেশন অফ করে দিন।
» মোবাইল ফোনের ডেটা প্রয়োজনমতো অন-অফ করলে যেমন তার সাশ্রয় হবে, তেমনি ব্যাটারিও ফুরাবে কম।
সূত্র: বিভিন্ন ওয়েবসাইট