আধুনিক বিশ্বে প্রযুক্তির দাপট সর্বত্রই। চিকিৎসা, কৃষি, গবেষণা এমনকি শিক্ষা ক্ষেত্রেও গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা পালন করছে নানাবিধ প্রযুক্তি। অসংখ্য প্রযুক্তির একটি হলো ড্রোন। ড্রোনের সাথে সংযুক্ত ক্যামেরার মাধ্যমে একটি সুনির্দিষ্ট এলাকার চিত্র ধারণ করা যায়। বর্তমানে এই সুবিধা কাজে লাগিয়ে কৃষকরা তাদের বিশাল জমিতে ফসলের বৃদ্ধি ও রোগবালাই শনাক্ত করতে পারেন। কৃষি খামারে সার-কীটনাশক ছিটানোর জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে বিশেষ ধরনের ড্রোন। চিকিৎসা ক্ষেত্রেও ড্রোন জরুরী ওষুধ-ইঞ্জেকশন এবং টিকা ডেলিভারি দেয়া কাজটিকে সহজ করে দিয়েছে। রাস্তাঘাট, পাহাড়ী এলাকা, বাঁধ ইত্যাদি নির্মাণের ক্ষেত্রেও ড্রোন ব্যবহার করে ম্যাপিং করে নেয়া যায়। নাটক সিনেমার ক্ষেত্রেও এর ব্যবহার বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
শুধু তাই নয় শিক্ষা ক্ষেত্রেও এর ব্যবহার বেশ সময়োপযোগী। এটি ব্যবহার করে জিওগ্রাফি, জুয়োলজি, হাইড্রোগ্রাফি, ইঞ্জিনিয়ারিং, কৃষি, পরিবেশবিদ্যা, বন্যপ্রাণী বিষয়ক গবেষণা, সমুদ্রবিদ্যা ইত্যাদি পড়াশোনার ক্ষেত্রে ড্রোনের ব্যবহার বেশ গুরুত্বপূর্ণ। নিত্য নতুন বিষয়–আশয় কিংবা বিজ্ঞান সম্পর্কে নতুন ধারণা অর্জনে ড্রোন সাহায্য করতে পারে। এর থেকে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়া এবং ঘটনাবলীর পর্যবেক্ষণ, ইতিহাস সম্পর্কে নতুন ধারণা পাওয়া বেশ সহজ।
অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশে ড্রোন ব্যবহার করে শিক্ষা ব্যবস্থাতে উন্নত করার সম্ভাবনা রয়েছে। দেশীয় বাজারে ড্রোন পাওয়া যাচ্ছে তেমনি স্টারটেক লিমিটেডে বিভিন্ন বাজেট ও আকারের ড্রোন আছে।