চীন সরকার ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে প্রযুক্তিতে এগিয়ে রাখতে নতুন এক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। চলতি বছরের ১ সেপ্টেম্বর থেকে দেশটির সব প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এআই শেখানো বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে এআইয়ের ওপর বছরে কমপক্ষে ৮ ঘণ্টা ক্লাস করতে হবে।
প্রাথমিক স্তরে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত খেলার ছলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রাথমিক পাঠ দেওয়া হবে। মাধ্যমিক স্তরে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা, কৃষি বা ট্রাফিক ব্যবস্থায় এআই কীভাবে কাজ করে; তা শেখানো হবে। মেশিন লার্নিং, ডেটা অ্যানালাইসিস এবং এআই উদ্ভাবনের নীতিশাস্ত্র পড়ানো হবে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের।
এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণ হিসেবে চীনের শিক্ষামন্ত্রী হুয়াই জিনপেং বলেছেন, ‘এআই শুধু প্রযুক্তি নয়, এটি শিক্ষার গতানুগতিক ধারাকে বদলে দেবে। আমাদের লক্ষ্য, শিশুরা যেন নতুন যুগের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত হয়। তাই ভবিষ্যতের জন্য এমন পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।’
এ বছরের মধ্যে চীন এআই শিক্ষার রোডম্যাপ প্রকাশ করবে। তাতে থাকবে বিস্তারিত নীতি ও বাস্তবায়নের পরিকল্পনা। বিশ্লেষকদের মতে, এই পদক্ষেপ চীনকে এআই প্রযুক্তিতে আরও প্রভাব বিস্তার করতে সাহায্য করবে। টেক জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানগুলোতে দক্ষ কর্মী গড়ে উঠবে। স্কুলে পড়ার সময় থেকে এআই শেখানো হলে শিক্ষার্থীরা সমস্যা সমাধান ও সৃজনশীল চিন্তা করতে শিখবে।
চীনের এই উদ্যোগ শুধু শিক্ষাব্যবস্থায় নয়, ভবিষ্যৎ অর্থনীতি ও প্রযুক্তি খাতেও বড় প্রভাব ফেলবে। বিশ্বজুড়ে এআই প্রতিযোগিতায় চীনকে একধাপ এগিয়ে রাখতে এই সিদ্ধান্তকে ‘গেম চেঞ্জার’ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
সূত্র: রয়টার্স