হোম > প্রযুক্তি

এক্সের আদলে নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম তৈরি করছে ওপেনএআই

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­

ওপেনএআইয়ের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রকল্পটি প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। ছবি: ইনসিড

ডিজিটাল জগতে নতুন চমক আনতে যাচ্ছে চ্যাটজিপিটির নির্মাতা ওপেনএআই। একাধিক সূত্রের বরাত দিয়ে প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট দ্য ভার্জ জানিয়েছে, এক্সের (সাবেক টুইটার) আদলে একটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নির্মাণে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি।

জানা গেছে, প্রকল্পটি প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। ওপেনএআই একটি অভ্যন্তরীণ প্রোটোটাইপ তৈরি করেছে, যেখানে চ্যাটজিপিটির ইমেজ জেনারেশনের ওপর ভিত্তি করে একটি সোশ্যাল ফিড রয়েছে। ইতিমধ্যে এই প্রকল্প সম্পর্কে বহিরাগতদের সঙ্গে মতবিনিময়ও করেছেন ওপেনএআইয়ের প্রধান নির্বাহী স্যাম অল্টম্যান। তবে এটি আলাদা অ্যাপ হিসেবে আসবে, নাকি চ্যাটজিপিটির মধ্যেই একীভূত করা হবে, তা এখনো চূড়ান্ত নয়।

বিশ্লেষকদের মতে, চ্যাটজিপিটির মধ্যে এমন একটি ফিচার যুক্ত হলে অল্টম্যান ও ইলন মাস্কের মধ্যকার প্রতিদ্বন্দ্বিতা আরও প্রকট হবে। উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারিতে মাস্ক যখন ওপেনএআই কেনার জন্য ৯৭ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারের একটি অনানুষ্ঠানিক প্রস্তাব দেন, তখন অল্টম্যান ব্যঙ্গ করে বলেন, ‘না ধন্যবাদ, তবে চাইলে আমরা টুইটার ৯ দশমিক ৭৪ বিলিয়নে কিনে নিতে পারি।’

ওপেনএআই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের দুনিয়ায় পা রাখলে মেটার সঙ্গেও ওপেনএআইয়ের প্রতিযোগিতা বাড়বে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। জানা গেছে, মেটাও তাদের আসন্ন এআই অ্যাপের জন্য একটি সোশ্যাল ফিড চালুর পরিকল্পনা করছে। কিছুদিন আগে মেটার এআই অ্যাপ তৈরির খবর ছড়িয়ে পড়লে অল্টম্যান টুইটারে বলেন, ‘ঠিক আছে, তাহলে আমরাও একটা সোশ্যাল অ্যাপ বানাব।’

বিশেষজ্ঞদের মতে, সামাজিক অ্যাপ চালু করলে ওপেনএআই নিজস্ব রিয়েল-টাইম ডেটার উৎস পাবে, যা এআই মডেল প্রশিক্ষণের জন্য ইতিমধ্যে ব্যবহার করছে এক্স ও মেটা। যেমন মাস্কের গ্রোক এক্স-এর কনটেন্ট ব্যবহার করে, আর মেটার লামা মডেল প্রশিক্ষিত হচ্ছে মেটার ব্যাপকসংখ্যক ব্যবহারকারীদের ডেটার ওপর ভিত্তি করে।

এই নতুন সোশ্যাল প্রোটোটাইপের পেছনে একটি মূল ধারণা হলো—এআই ব্যবহার করে মানুষ যেন আরও ভালো ও ভাইরাল কনটেন্ট তৈরি করতে পারে। আরেক এআই ল্যাবের কর্মকর্তা বলেন, গ্রোক এক্সের সঙ্গে মিলে যা করছে, তা নিয়ে সবাই ঈর্ষান্বিত। বিশেষ করে যখন মানুষ এটিকে দিয়ে মজার কিছু বলিয়ে ভাইরাল করে।

তবে ওপেনএআই বর্তমানে নানা প্রকল্পে ব্যস্ত। তাই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম তৈরির প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে কি না, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে এই প্রকল্পের অস্তিত্বই বলে দিচ্ছে, ভবিষ্যতের বিপুল প্রত্যাশা সামনে রেখে প্রতিষ্ঠানটি নিজেদের সম্প্রসারণ ও নতুন কিছু তৈরির চেষ্টায় রয়েছে।

গুগলের নতুন ফিচার: সাধারণ হেডফোনই হবে রিয়েল–টাইম অনুবাদক

ডিজিটাল উদ্যোক্তা প্রকল্প: পাঁচ বছরে অর্ধেক কাজ, ব্যয় বাড়ল ১৭৮ কোটি

যুক্তরাষ্ট্রে মাকে হত্যার পর ছেলের আত্মহত্যা, চ্যাটজিপিটির বিরুদ্ধে অভিযোগ পরিবারের

মিসড কল মেসেজ ও ছবি থেকে অ্যানিমেশনসহ যেসব ফিচার আনল হোয়াটসঅ্যাপ

অস্ট্রেলিয়ায় ২ লাখ অ্যাকাউন্ট বন্ধ: ‘এটা কাজ করছে না ব্রো’— প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ জেন-জি’দের

সকালে ঘুম ভেঙে অস্ট্রেলিয়ার লাখো শিশু দেখবে তাদের ‘আইডি’ উধাও

ভারতে ১৭.৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে মাইক্রোসফট

ব্যবহৃত মোবাইল ফোন আমদানিতে বিটিআরসির ‘না’, কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি মোবাইল ব্যবসায়ীদের

৩০ মিনিটের বেশি সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার শিশুদের মনোযোগের ক্ষমতা কমায়, বলছে গবেষণা

ট্রাম্পের নতি স্বীকার, এনভিডিয়ার শক্তিশালী এআই চিপ চীনে বিক্রির অনুমতি