হোম > প্রযুক্তি

তহবিল সংগ্রহে রেকর্ড গড়ল বাংলাদেশি স্টার্ট আপ ১০ মিনিট স্কুল 

বাংলাদেশি স্টার্ট আপ হিসেবে প্রাথমিক পর্যায়ে সর্বোচ্চ তহবিল সংগ্রহের রেকর্ড গড়েছে ১০ মিনিট স্কুল বা ১০এমএস। দেশের প্রথম শিক্ষা–প্রযুক্তির এই স্টার্টআপ প্রি সিরিজ-এ তহবিল হিসেবে ৫৫ লাখ ডলারসংগ্রহ করেছে। সিড স্টেজ বা প্রাথমিক পর্যায়ে এটাই সর্বোচ্চ তহবিল সংগ্রহ। এর ফলে ১০ মিনিট স্কুলের মোট তহবিলের পরিমাণ দাঁড়াল ৭৫ লাখ ডলারে। প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট টেকক্রাঞ্চের এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

এই তহবিল বিভিন্ন প্রাইভেট ও সরকারি বিনিয়োগ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। তহবিলে বিনিয়োগ করেছে কনজাংকশন ক্যাপিটাল, রিটার্নিং ইনভেস্টর পিক এক্সভি’স সার্জ (সাবেক সিকোইয়া ক্যাপিটাল ইন্ডিয়া), বাংলাদেশ সরকারের সার্বভৌম উদ্যোগ তহবিল, স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড, ক্রেডের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও কুনাল শাহ, মাইএশিয়াভিসির অংশীদারি ব্যবস্থাপক সাজিদ রহমানসহ বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক বিনিয়োগকারী।

মূলত ইউটিউব চ্যানেল হিসেবে ১০ মিনিট স্কুলের যাত্রা শুরু। দেশজুড়ে প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের জন্য সর্বজনীন শিক্ষার সুবিধা দেওয়ায় এই কার্যক্রমের উদ্দেশ্য।

এই প্ল্যাটফর্মে শিক্ষার্থীদের জন্য লাইভ, প্রি রের্কডেড ক্লাস, বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি প্রস্তুতি বিষয়ক পরীক্ষা, কুইজসহ বিভিন্ন কনটেন্ট রয়েছে যা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে দেখা যায়। অ্যাপটিতে ৩৫ হাজার ভিডিও ক্লাস ও ৮২ হাজার কুইজ রয়েছে। এ ছাড়া জাতীয় শিক্ষাক্রম অনুসারে মডেল টেস্ট, ইবুক ও লেকচার নোটও রয়েছে। এই প্ল্যাটফর্মে শিক্ষার্থী ৫২ শতাংশ গ্রামীণ ও ঢাকার বাইরে মফস্বল অঞ্চলের। এর মধ্যে মেয়ে শিক্ষার্থী ৩৪ শতাংশ।

সহ–প্রতিষ্ঠাতা আয়মান সাদিক ২০১৫ সালে ১০ মিনিট স্কুলের ইউটিউব চ্যানেল খোলেন। সাদিক ২০১২ সাল থেকে ঢাকার স্বনামধন্য একটি কোচিংয়ের শিক্ষক হিসেবে ক্লাস নেন। এ সময়ে তিনি শিক্ষা অর্জনে দুটি বাঁধা দেখতে পান। প্রথমটি হল টিউশন খরচ ও দ্বিতীয়টি হল ঢাকা শহরে এসে থাকার অসুবিধা। সেই সময়ে পর্যাপ্ত কোচিং সেন্টারও ছিল না।

সাদিক বলেন, তিনি ভেবেছিলেন একই সঙ্গে সব ভিডিও ইউটিউবে আপলোড করে দেবেন, যাতে পড়ার জন্য খরচ করে এত দূরে ঢাকায় আসতে হবে না। এ ছাড়া তিনি খান একাডেমি ও ইডিএক্সের মত প্ল্যাটফর্ম খেকেই অনুপ্রাণিত হন। তার ইউটিউব চ্যানেলে ১ লাখ সাবস্ক্রাইবার হওয়ার পর ১০ মিনিট স্কুলকে স্টার্ট আপটি হিসেবে নিয়ে আসার উদ্যোগ নেন।

২০১৫ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ১০ মিনিট স্কুলের ইউটিউব চ্যানেলে ইলেকট্রনিক ও টেলিকম কোম্পানিসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপন পান। চ্যানেলটিতে ২৫ হাজার ভিডিও দেওয়া হয় যাতে প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পুরো সিলেবাস অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এরপরে করোনা মহামারির জন্য বিজ্ঞাপন কমে যায়। তাই তার প্রজেক্টকে টেকসই করতে তিনি পেইড ভার্সন নিয়ে আসেন। এভাবে ১০ মিনিট স্কুলের প্রিমিয়াম প্রোডাক্ট বই ও কোর্সের জন্য পেমেন্ট প্রোগ্রাম শুরু হয়। 

এর আগেও প্রাথমিক পর্যায়ে তহবিল সংগ্রহে বাংলাদেশে সবচেয়ে এগিয়ে ছিল শিক্ষা–প্রযুক্তি বিষয়ক স্টার্টআপ ‘শিখো’। শিখো প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে তৈরি করা যা ২০২২ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত ৫৩ লাখ ডলার তহবিল সংগ্রহ করে। শিখো ১০ মিনিট স্কুলের সবচেয়ে বড় প্রতিযোগী। তবে ১০ মিনিট স্কুল পুরোনো, বড় ও বেশিসংখ্যক শ্রেণির সিলেবাস অন্তর্ভুক্ত করায় প্ল্যাটফর্মটি বেশি সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে।

প্রযুক্তির দখল কার হাতে

গুগলের নতুন এআই টুল

বৈদ্যুতিক জাহাজ নির্মাণশিল্পে চীনের আধিপত্য

পাসওয়ার্ডের নিরাপত্তা কতটুক: জেনে নিন বিশ্বে সর্বাধিক ব্যবহৃত পাসওয়ার্ড

ভুয়া ওয়েবসাইট চেনার উপায়

আগুনের ঝুঁকিমুক্ত ব্যাটারি বানালেন বিজ্ঞানীরা

উসকানিমূলক কনটেন্ট বন্ধে কঠোর অবস্থানে সরকার

উসকানিমূলক কনটেন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মেটাকে বিটিআরসির চিঠি

বিবিএসের জরিপ: ইন্টারনেটের আওতার বাইরে দেশের ৪৪% পরিবার

ডিজিটাল রূপান্তর মানে শুধু অ্যাপ নয়, রাষ্ট্রের ভিত্তি পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া: ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব