হোম > প্রযুক্তি

স্টারবাকসের যে শাখায় খাবার পরিবেশন করে ১০০ রোবট

স্টারবাকসের এমন একটি শাখার কথা কল্পনা করুন, যেখানে প্রায় ১০০ রোবট খাবার পরিবেশন করছে কাস্টমারদের। কল্পনা নয়, বাস্তবেই এমনটি ঘটছে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান নাভারের সদর দপ্তর নাভার ১৭৮৪ টাওয়ারে অবস্থিত স্টারবাকসে। নাভারের সদর দপ্তরটি রোবোটিকসের বৃহত্তম পরীক্ষাগার। প্রযুক্তিবিষয়ক সংবাদমাধ্যম ইন্টারেস্টিং ইঞ্জিনিয়ারিং এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।

রোবোটিকস, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং ক্লাউড পরিষেবাগুলোতে নতুন নতুন ধারণার বাস্তব চিত্রায়ণ কতটা করতে পারল নাভার, সেটাই পরীক্ষা করা হয় টাওয়ারটিতে। নাভারের মতে, কাজের পরিবেশ আরও ভালো করার জন্য উন্নত প্রযুক্তিগুলো ব্যবহার করা হয়েছে সেখানে। ভবিষ্যতের কর্মস্থল কেমন হবে, সেই ধারণাও দিচ্ছে নাভার ১৭৮৪ টাওয়ার।

তাই এই টাওয়ারে অবস্থিত স্টারবাকসে রোবটের দেখা পেলে তা হয়তো অনেক বেশি বিস্ময়ের সৃষ্টি করবে না। দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে অবস্থিত ৩৬ তলাবিশিষ্ট ভবনটিতে নাভারের রুকি রোবটগুলো স্টারবাকসে কাজ করে বেয়ারা হিসেবে। প্রতিদিনই নাভার ১৭৮৪ টাওয়ারটিতে প্রায় ১০০ রোবট স্টারবাকসের কফি, লাঞ্চ বক্স থেকে শুরু করে বিভিন্ন পার্সেল পৌঁছে দেয় কর্মীদের কাছে।

রুকি হলো ক্লাউড-ভিত্তিক রোবট। নাভার তার বট পরিষেবাভিত্তিক প্রযুক্তির প্রচারে রুকি রোবটগুলো ব্যবহার করে। এ ধরনের রোবট এআই, রোবট ও ক্লাউড (এআরসি) প্ল্যাটফরমে কাজ করে, যা নাভার ক্লাউড ও ফাইভজি নেটওয়ার্কের ওপর ভিত্তি করে পরিচালিত।

খাবার, পানীয় বা অন্যান্য আইটেম সংরক্ষণের জন্য চাকাওয়ালা রুকির একটি বগি রয়েছে, যা পছন্দসই স্থানে পরিবহন করা যায়। এ ছাড়া, নাভারের রোবোপোর্টের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ রোবট লিফটও এই রুকি, যা ভবনটির বিভিন্ন তলায় যেতে পারে।

রুকিকে বিভিন্ন কাজে সাহায্য করার জন্য রয়েছে অ্যাম্বিডেক্স নামক দুই হাতবিশিষ্ট রোবট। স্টারবাকসে মানুষের সঙ্গে নিরাপদ মিথস্ক্রিয়া নিশ্চিত করার জন্য অ্যাম্বিডেক্সে ব্যবহার করা হয়েছে বিশেষ প্রযুক্তি। তার দিয়ে পরিচালিত এই রোবটের বিশেষত্ব হচ্ছে নির্ভুল কাজ ও গতি। ভারী জিনিস বহনেও বিশেষভাবে সক্ষম অ্যাম্বিডেক্স।

নাভারের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ‘এটা আশ্চর্যজনক যে, এত বিশাল জায়গায় এতগুলো রোবট অবিরাম কাজ করছে। ১৭৮৪ টাওয়ারে প্রতিদিনের পরিষেবা যেন প্রতিদিনের গবেষণামূলক পরীক্ষা। এখানে প্রতিদিনের ঘটনাগুলো পরের দিনের নতুন তথ্যে পরিণত হয়।’

তিনটি প্রধান বিভাগকে কেন্দ্র করে নাভার সাজিয়েছে তাদের রোবট গবেষণা প্রচেষ্টা। সেগুলো হচ্ছে—পরিষেবাভিত্তিক রোবটকে জনপ্রিয় করা, মানুষ ও রোবটের মধ্যে স্বাভাবিক মিথস্ক্রিয়া এবং রোবটের জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।

গুগলের নতুন ফিচার: সাধারণ হেডফোনই হবে রিয়েল–টাইম অনুবাদক

ডিজিটাল উদ্যোক্তা প্রকল্প: পাঁচ বছরে অর্ধেক কাজ, ব্যয় বাড়ল ১৭৮ কোটি

যুক্তরাষ্ট্রে মাকে হত্যার পর ছেলের আত্মহত্যা, চ্যাটজিপিটির বিরুদ্ধে অভিযোগ পরিবারের

মিসড কল মেসেজ ও ছবি থেকে অ্যানিমেশনসহ যেসব ফিচার আনল হোয়াটসঅ্যাপ

অস্ট্রেলিয়ায় ২ লাখ অ্যাকাউন্ট বন্ধ: ‘এটা কাজ করছে না ব্রো’— প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ জেন-জি’দের

সকালে ঘুম ভেঙে অস্ট্রেলিয়ার লাখো শিশু দেখবে তাদের ‘আইডি’ উধাও

ভারতে ১৭.৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে মাইক্রোসফট

ব্যবহৃত মোবাইল ফোন আমদানিতে বিটিআরসির ‘না’, কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি মোবাইল ব্যবসায়ীদের

৩০ মিনিটের বেশি সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার শিশুদের মনোযোগের ক্ষমতা কমায়, বলছে গবেষণা

ট্রাম্পের নতি স্বীকার, এনভিডিয়ার শক্তিশালী এআই চিপ চীনে বিক্রির অনুমতি