হোম > প্রযুক্তি

টেলিগ্রামে নিষেধাজ্ঞা যেসব দেশে

ফিচার ডেস্ক

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামের ওপর সাইবার ক্রাইমের অভিযোগ উঠেছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। মাসখানেক আগে গ্রেপ্তার হন প্রতিষ্ঠানটির সিইও পাভেল দুরভ। এরপর জনপ্রিয় এই অ্যাপ নিয়ে বেশ দুশ্চিন্তায় পড়ে যায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। সেই হিসাব কষে সম্প্রতি টেলিগ্রাম বন্ধ করল ইউক্রেন। যদিও অ্যাপটি জন্মলগ্ন থেকে অনেক দেশে নিষিদ্ধের তালিকায় আছে।  

চীন
নিজ দেশের নাগরিকের সমালোচনাকে বেশ বাঁকা চোখে দেখে চীন সরকার। তাই বলে তো সমালোচনা বন্ধ থাকার নয়। ২০১৩ সালে টেলিগ্রাম অ্যাপ আসার পর চীনের একদল মানবাধিকার আইনজীবী একে বেছে নিয়েছিলেন নিজেদের যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে। স্বাভাবিকভাবে সেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেছিলেন সেই আইনজীবীরা। সেটি মোটেও সহ্য করেনি দেশটির সরকার। তাই কৌশলে ২০১৫ সালে চীনা কর্তৃপক্ষ টেলিগ্রামের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। 

ইরান
ডিমের দাম বেড়ে যাওয়া এবং ২০১৭-১৮ অর্থবছরের নতুন বাজেট পাস নিয়ে ব্যাপক ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে ইরানের সাধারণ জনগণ। অচিরেই শুরু হলো আন্দোলন। দেশটির প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ ডিজিটাল যোগাযোগের ক্ষেত্রে টেলিগ্রাম ব্যবহার করত সে সময়। সেই বিক্ষোভের আগুনে ঘি ঢালল অ্যাপটি। আর সেটিই কাল হয় দাঁড়াল তার জন্য। ইরান সরকার ২০১৮ সালে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে টেলিগ্রামকে। তবে এখনো ইরানের সাধারণ মানুষ ভিপিএনের মাধ্যমে টেলিগ্রাম ব্যবহার করছে। 

থাইল্যান্ড
গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ২০১৪ সালে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েছিলেন প্রায়ুথ চান-ওচা। মজার ব্যাপার, মাত্র ছয় বছরের মাথায় ২০২০ সালে তাঁর বিরুদ্ধে দেশটির জনগণ আন্দোলন শুরু করে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হিসেবে সেই আন্দোলনকে বেগবান করেছিল টেলিগ্রাম। আন্দোলনের ফল ইতিবাচক না হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর সব রাগ গিয়ে পড়ল অ্যাপটির ওপর। সে বছরই টেলিগ্রাম অ্যাপটিকে নিষিদ্ধ করে প্রায়ুথ চান-ওচার নেতৃত্বাধীন থাই সরকার। 

স্পেন
২০২৩ সালে কয়েকটি গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান টেলিগ্রামের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করে। তাদের অভিযোগ ছিল, অ্যাপটিতে তাদের কনটেন্ট বিনা মূল্যে এবং অনিরাপদভাবে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে; যা কপিরাইট আইন লঙ্ঘন করে। সে মামলার রায় যায় গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষে এবং নিষিদ্ধ করা হয় টেলিগ্রামকে। 

ইউক্রেন
রাশিয়ার নজরদারি থেকে বাঁচতে সরকারি এবং দেশের গুরুত্বপূর্ণ কর্মীদের ডিভাইসগুলোয় টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপ নিষিদ্ধ করেছে ইউক্রেন। ২০ সেপ্টেম্বর ইউক্রেনের জাতীয় নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা কাউন্সিল এ সিদ্ধান্তের কথা জানায়। দেশটিতে প্রায় ৩৩ হাজার টেলিগ্রাম চ্যানেল সক্রিয় রয়েছে। আর ৭৫ শতাংশ নাগরিক যোগাযোগের জন্য অ্যাপটি ব্যবহার করে। ২০২২ সালে রাশিয়ার আক্রমণের পর অ্যাপটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের উৎসে পরিণত হয়। এ কারণে টেলিগ্রামের ব্যাপারে কঠোর সিদ্ধান্ত নেয় ইউক্রেন সরকার।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

প্রযুক্তির দখল কার হাতে

গুগলের নতুন এআই টুল

বৈদ্যুতিক জাহাজ নির্মাণশিল্পে চীনের আধিপত্য

পাসওয়ার্ডের নিরাপত্তা কতটুক: জেনে নিন বিশ্বে সর্বাধিক ব্যবহৃত পাসওয়ার্ড

ভুয়া ওয়েবসাইট চেনার উপায়

আগুনের ঝুঁকিমুক্ত ব্যাটারি বানালেন বিজ্ঞানীরা

উসকানিমূলক কনটেন্ট বন্ধে কঠোর অবস্থানে সরকার

উসকানিমূলক কনটেন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মেটাকে বিটিআরসির চিঠি

বিবিএসের জরিপ: ইন্টারনেটের আওতার বাইরে দেশের ৪৪% পরিবার

ডিজিটাল রূপান্তর মানে শুধু অ্যাপ নয়, রাষ্ট্রের ভিত্তি পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া: ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব