জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক তার ফেসিয়াল রিকগনিশন সিস্টেম (চেহারা শনাক্ত করা) বন্ধ করলেও, তাদের মূল কোম্পানি মেটাভার্স সেই পথে হাঁটবে না। এক বিবৃতিতে এমনটিই জানিয়েছে মেটাভার্স।
গত মঙ্গলবার ফেসবুকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, কয়েক সপ্তাহের মধ্যে তারা ১০০ কোটির বেশি মানুষের ‘ফেসিয়াল রিকগনিশন টেমপ্লেট’ মুছে ফেলবে।
মেটার মুখপাত্র জেসন গ্রস জানিয়েছেন, মেটাভার্সে ফেসিয়াল রিকগনিশন সিস্টেম (চেহারা শনাক্ত করা) ছাড়াও চালু থাকবে বায়ো মেট্রিক সিস্টেম। তিনি বলেন, 'এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে মানুষ তথ্য প্রযুক্তির এক নতুন দুনিয়ায় প্রবেশ করবে। মেটার অবস্থান হবে আরও স্বচ্ছ। এই প্ল্যাটফর্মে সবার ব্যক্তিগত গোপনীয়তা খুব ভালো ভাবেই সংরক্ষণ থাকবে বলে আমার বিশ্বাস। তা ছাড়া ভবিষ্যতে আরও উদ্ভাবনী প্রযুক্তির ক্ষেত্রে, সাধারণ মানুষের ব্যক্তিগত তথ্যের ওপর তারা নিজেরাই কীভাবে নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারে সে বিষয়টি খেয়াল রাখা হবে।'
মেটাভার্স শব্দটি মূলত সায়েন্স ফিকশন গল্প থেকে এসেছে। এটি ইন্টারনেটের এমন এক ভবিষ্যৎ দুনিয়া, যেখানে বাস্তবের সবকিছুই একদম বাস্তবের মতোই ভার্চ্যুয়াল পাওয়া যাবে। এই দুনিয়ায় প্রবেশ করতে স্মার্ট ফোন বা ল্যাপটপের বদলে প্রয়োজন অগমেন্টেড রিয়্যালিটি হেড সেট।
মেটার সিইও মার্ক জাকারবার্গ গত জুলাইয়ে, ফেসবুক কোম্পানিকে মেটায় রূপান্তরের কথা জানিয়েছিলেন। সে লক্ষ্যেই তিনি এ প্রতিষ্ঠানকে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ও রিয়্যালিটি ল্যাব এই দুই ভাগে ভাগ করেন। মূলত এই রিয়্যালিটি ল্যাবই মেটাভার্স, ভার্চুয়াল ও অগমেন্টেড রিয়্যালিটি হেড সেট তৈরিতে কাজ করছে।