ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) সংস্কার, একচেটিয়া সিন্ডিকেট বিলোপ এবং মোবাইল ফোনের উন্মুক্ত আমদানির সুযোগ সৃষ্টির দাবিতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ভবন ঘেরাও করে রেখেছেন মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীরা। এর ফলে বিকেল ৫টায় অফিস সময় শেষ হলেও ভবন থেকে বের থেকে পারছেন না বিটিআরসির শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মোবাইল বিজনেস কমিউনিটি বাংলাদেশের (এমবিসিবি) ব্যানারে বিটিআরসি ভবনের সামনে জড়ো হন ব্যবসায়ীরা। এতে ভবনের সামনের সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ওই এলাকায় একাধিক হাসপাতাল থাকায় ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ মানুষ।
সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ব্যবসায়ীদের অবরোধ চলছে।
সমস্যা সমাধানে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের সঙ্গে বিটিআরসি চেয়ারম্যান ভার্চুয়ালি বৈঠক করছেন বলে জানা গেছে। বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি-বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব ও মন্ত্রণালয়ের সচিব রয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিটিআরসির এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা এখনো অবরুদ্ধ। অফিস ছুটির আগেই কৌশলে নারী কর্মীদের একটি অংশকে বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সমস্যা সমাধানে মিটিং চলছে।’
বিটিআরসি ভবনের নিরাপত্তায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
আজ দুপুরে বিটিআরসি চেয়ারম্যানের সঙ্গে পূর্বনির্ধারিত বৈঠক করেন এমবিসিবির নেতারা। বৈঠক শেষে এমবিসিবির সভাপতি মোহাম্মদ আসলাম জানান, বৈঠকে এনইআইআর সিস্টেম চালুর সময় এক বছর পেছানোর দাবি জানান তাঁরা। এতে বিটিআরসি কোনো সাড়া দেয়নি। দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
১৬ ডিসেম্বর থেকে এনইআইআর কার্যকরের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। বিটিআরসি আশা করছে, এনইআইআর কার্যকর হলে অবৈধভাবে দেশে আসা মোবাইল ফোনের ব্যবহার বন্ধ হবে। একই সঙ্গে সরকারের রাজস্ব আয় বাড়বে।
তবে মোবাইল ফোন বিক্রেতারা বলছেন, এনইআইআর চালু হলে তাঁদের ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে।
মোবাইল ফোন ব্যবসায়ী নেতারা বলেন, ‘দেশের মোবাইল ফোন ব্যবসার মার্কেট শেয়ার যাদের ৭০ শতাংশের বেশি, তাদের সঙ্গে বসে আলোচনা করে এনইআইআর চালু করতে হবে। আমরা কোনোভাবেই এনইআইআরের বিরুদ্ধে না। তবে এই প্রক্রিয়ার কিছু সংস্কার, ন্যায্য করনীতি প্রণয়ন, একচেটিয়া সিন্ডিকেট বিলোপ এবং মুক্ত বাণিজ্যের স্বার্থে সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিতে আমাদের কিছু দাবি ও প্রস্তাব রয়েছে।’