হোম > প্রযুক্তি

এআই খাতে নজর আমাজনের, ক্লাউডে বিনিয়োগ ১০০ বিলিয়ন

২০২৪ সালে ৭৮ বিলিয়ন ডলার বাজার খরচ করেছিল আমাজন। ছবি: ওয়্যারড

চীনের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ডিপসিকের তৈরি ‘ডিপসিক এআই’ মডেল উন্মোচনের মাধ্যমে এআই খাতে খরচ কমানোর বিষয় নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। তবে এই মুহূর্তে আমাজন এক বিস্ফোরক ঘোষণা দিয়ে সবাইকে অবাক করেছে। প্রতিষ্ঠানটি চলতি বছরেই এআই খাতে ১০০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি খরচ করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। এই বিশাল পরিমাণ বিনিয়োগের অধিকাংশই খরচ হবে আমাজনের ক্লাউড সেবায়।

গত বৃহস্পতিবার কোম্পানির চতুর্থ ত্রৈমাসিক আয় প্রতিবেদনে থেকে এসব তথ্য জানা যায়। আমাজনের সিইও অ্যান্ডি জ্যাসি জানান, ২০২৫ সালের জন্য খরচের পরিকল্পনার অধিকাংশই ক্লাউড ডিভিশনের (এডব্লিউএস) এআই প্রযুক্তিতে ব্যয় হবে।

জ্যাসি বলেছেন, ২০২৪ সালের চতুর্থ ত্রৈমাসিকে আমাজন যে ২৬ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার বাজার মূলধন খরচ করেছে, তা এ বছরে খরচের একটি ভালো ধারণা দেয়। যদি এই ত্রৈমাসিক খরচকে ৪ দিয়ে গুণ করা হয়, তাহলে মোট পরিমাণ দাঁড়ায় ১০৫ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার।

এই বিশাল পরিমাণ খরচ গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি। কারণ ২০২৪ সালে ৭৮ বিলিয়ন ডলার বাজার খরচ করেছিল আমাজন।

এআই প্রযুক্তি সস্তা হয়ে যাওয়ার ফলে তাদের আয় কমে যাবে এমন উদ্বেগ উড়িয়ে দিয়েছে আমাজন। এর পরিবর্তে জ্যাসি বলেছেন, দাম কমানোর ফলে শুধু এআই প্রযুক্তির চাহিদা বাড়বে। এর ফলে আমাজনের ক্লাউড সার্ভিসের মতো এআই সেবাগুলোর চাহিদা বেড়ে যাবে। আর এই সেবা থেকে তারা লাভবান হবে।

জ্যাসি বলেছেন, ‘কখনো কখনো মানুষ ধারণা করে যে, যদি কোনো উপাদান তৈরির খরচ কমানো যায়, তবে তা প্রযুক্তির মোট খরচ কমিয়ে দেয়। তবে আমরা কখনো এমনটা দেখতে পাইনি।’

এআইয়ের চাহিদার বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে তিনি ইন্টারনেট ও ক্লাউড প্রযুক্তি শুরুর দিনের সঙ্গে তুলনা করেছেন। ডিপসিকের কারণে এআই খাতে বাড়তে থাকা খরচ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিনিয়োগকারীরা। এ জন্য প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো এসব বিনিয়োগের পক্ষে বিভিন্ন যুক্তি তুলে ধরছে। এসব প্রতিষ্ঠানও আমাজনের মতো একই ধরনের যুক্তি দেখাচ্ছে।

গত সপ্তাহে মেটার সিইও মার্ক জাকারবার্গ ঘোষণা করেন যে, কোম্পানিটি দীর্ঘ মেয়াদে এআইতে ‘শত শত বিলিয়ন’ ডলার খরচ করবে। কারণ তাদের কোটি কোটি ব্যবহারকারীর মধ্যে ইনফারেন্সের চাহিদা বাড়ছে। ২০২৫ সালে মেটা অন্তত ৬০ বিলিয়ন ডলার খরচ করার পরিকল্পনা করেছে, যা মূলত এআইতে ব্যয় হবে।

এদিকে, অ্যালফাবেট ২০২৫ সালের জন্য তার মূলধন ব্যয় ৪২ শতাংশ বাড়িয়ে ৭৫ বিলিয়ন ডলার করেছে। এই খরচের পেছনে কারণ তুলে ধরে গুগলের সিইও সুন্দর পিচাই। তিনি বলেন, কমে যাওয়া এআই খরচ ‘আরও বেশি ব্যবহারযোগ্য ক্ষেত্রে বাস্তবায়ন সম্ভব করবে।’

মাইক্রোসফট গত মাসে ঘোষণা করেছে যে, ২০২৫ সালে শুধু এআই ডেটা সেন্টারগুলোর জন্য তারা ৮০ বিলিয়ন ডলার খরচ করবে।

ডিপসিক নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে থাকার সময় অর্থনীতির একটি ধারণা এক্স প্ল্যাটফর্মে প্রকাশ করেন মাইক্রোসফটের সিইও সত্য নাদেলা। ‘জেভন্স প্যারাডক্স’ নামে অর্থনীতি ধারণাটি হলো—দাম কমলে চাহিদা বাড়ে।

গুগলের নতুন ফিচার: সাধারণ হেডফোনই হবে রিয়েল–টাইম অনুবাদক

ডিজিটাল উদ্যোক্তা প্রকল্প: পাঁচ বছরে অর্ধেক কাজ, ব্যয় বাড়ল ১৭৮ কোটি

যুক্তরাষ্ট্রে মাকে হত্যার পর ছেলের আত্মহত্যা, চ্যাটজিপিটির বিরুদ্ধে অভিযোগ পরিবারের

মিসড কল মেসেজ ও ছবি থেকে অ্যানিমেশনসহ যেসব ফিচার আনল হোয়াটসঅ্যাপ

অস্ট্রেলিয়ায় ২ লাখ অ্যাকাউন্ট বন্ধ: ‘এটা কাজ করছে না ব্রো’— প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ জেন-জি’দের

সকালে ঘুম ভেঙে অস্ট্রেলিয়ার লাখো শিশু দেখবে তাদের ‘আইডি’ উধাও

ভারতে ১৭.৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে মাইক্রোসফট

ব্যবহৃত মোবাইল ফোন আমদানিতে বিটিআরসির ‘না’, কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি মোবাইল ব্যবসায়ীদের

৩০ মিনিটের বেশি সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার শিশুদের মনোযোগের ক্ষমতা কমায়, বলছে গবেষণা

ট্রাম্পের নতি স্বীকার, এনভিডিয়ার শক্তিশালী এআই চিপ চীনে বিক্রির অনুমতি